সংক্ষিপ্ত

সরস্বতী পুজোর প্রাক্কালে জেনে নিন মায়ের পুরনো একটি মন্দিরের (Temple) কথা। ভারতের বাইরে সন্ধান মিলেছে বহু পুরনো দেবী মন্দিরের। শারদা পীঠ নামে পরিচিত একটি মন্দিরটি রয়েছে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (Kashmir)। মন্দিরটি প্রায় ৫০০০ হাজার বছর পুরনো।

রাত পোহালেই সরস্বতী পুজো। গত দুদিন ধরে চলছে দেবী বন্দনার (Saraswati Puja) জোগাড়। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে আলপনা দেওয়ার পর্ব ইতিমধ্যে শেষ। অন্য দিকে, শেষের পথে মণ্ডপ সজ্জার কাজ। আজই প্রতিমা আসবে প্যান্ডেলে। তাই উৎসাহ এখন চরম মুহূর্তে। তিথি অনুসারে এবার বসন্ত পঞ্চমী তিথি পড়েছে শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ভোর ০৩.৪৮ মিনিটে শুরু হচ্ছে তিথি। আর শেষ হচ্ছে রবিবার ভোর ০৩.৪৬ মিনিটে. পঞ্জিকা মতে, পুজোর শুভ মুহূর্ত সকাল ৭.০৭টা থেকে দুপুর ১২.৩৫ মিনিট পর্যন্ত। 

আজ সরস্বতী পুজোর প্রাক্কালে জেনে নিন মায়ের পুরনো একটি মন্দিরের কথা। দেবী সরস্বতীর বন্দনা হয়ে আসছে বহু যুগ ধরে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে রয়েছে মায়ের মন্দির। ভারতের বাইরে সন্ধান মিলেছে বহু পুরনো দেবী মন্দিরের। শারদা পীঠ নামে পরিচিত একটি মন্দিরটি রয়েছে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (Kashmir)। মন্দিরটি প্রায় ৫০০০ হাজার বছর পুরনো। সেখানে পুজিত হন মা সরস্বতী। এই মন্দির নিয়ে রয়েছে এক অজানা কাহিনি। 

জানা যায়, শারদা পীঠ হল দেবীর ১৮টি মহাশক্তি পীঠের মধ্যে একটি। এটি শ্রীনগর থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হিন্দু (Hindu) বিশ্বাস অনুসারে, এখানে দেবী সতী মায়ের ডান হাত পড়েছিল। ঋষি কাশ্যপের নামানুসারে মন্দিরটি কাশ্যপুর নামেও পরিচিত। এক সময় এটি ছিল খ্যাতনামা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জানা যায়, বৈদিক যুগে এটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ছিল। ঋষি পাণিনি এখানেই তাঁর অষ্টাধ্যয়ী রচনা করেছিলেন। এটি ছিল বিদ্যা সাধনার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। শৈব সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা আদি শঙ্করাচার্য এবং বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা রামানুজাচার্য উভয় এখানে উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করেছিলেন। মন্দিরটি মহারাজ অশোকের যুগেও বেশ খ্যাত ছিল। মহারাজ অশোক ২৩৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পুননির্মাণ করেছিলেন মন্দিরটি। ১৯৪৭ সালের আগে পর্যন্ত তীর্থযাত্রীরা মন্দির দর্শনে যেতেন। কাশ্মীরে পণ্ডিত-সহ সারা ভারত থেকে মানুষ এই মন্দির পরিদর্শনে যেতেন। 

বর্তমানে শারদা গ্রামের নীলম নদীর তীরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে শারদা পীঠ। ২০২১ সালে এই মন্দির নির্মাণ শুরু হয়। মন্দিরের (Temple) পাশে ধর্মশালা নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রকের ওয়াকফ উন্নয়ন কমিনিটি থেকে এই নির্মান শুরু করা হয়। বর্তমানে জোড় কদমে চলছে এই কাজ। বাগদেবীর বন্দনার (Saraswati Puja) প্রাক্কালে ফেল একবার খবরে এল দেবীর এই মন্দির। 

আরও পড়ুন: Saraswati Puja 2022: একদিনের আনন্দ যেন বিপদ ডেকে না আনে, সরস্বতী পুজোয় মেনে চলুন করোনা বিধি

আরও পড়ুন: Saraswati Puja Special Recipe: জেনে নিন কী করে বানাবেন গোটা সেদ্ধ, রইল রেসিপি