দার্জিলিং এর একটি অফ ব্রিড ডেস্টিনেশন বলতে পারেন কার্শিয়াং এর চিমনি গ্রাম। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শহরের কোলাহল থেকে সম্পূর্ণ দূরে একটি নিরিবিলি মনোমুগ্ধ করা টুরিস্ট স্পট। 

কার্শিয়াংয়ের চিমনি গ্রামটি এক শান্ত ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা জায়গা। যা ঘন পাইন ও ওক গাছের জঙ্গল এবং মেঘেদের লুকোচুরির জন্য পরিচিত। এখানে ব্রিটিশ আমলের একটি প্রায় ১০০ বছরের পুরনো চিমনি রয়েছে, যা মূলত ঠান্ডা থেকে বাঁচতে তৈরি করা হয়েছিল। আর এটি গ্রামটির নামের মূল উৎস। এই গ্রামের বিশেষত্ব হলো এর নির্জনতা, পাখির কলতান, নানা ধরনের ফুল ও অর্কিডের সমারোহ এবং ওল্ড মিলিটারি রোডের মতো ঐতিহাসিক রাস্তা।

চিমনি গ্রামের বিস্তারিত বর্ণনা :

১) প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: চারিদিকে পাহাড়, পাইন ও ওক গাছের জঙ্গল এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করে।

২) ভোর বা পড়ন্ত বিকেলে মেঘেদের ভেসে বেড়ানো এবং পাহাড়ের সঙ্গে তাদের লুকোচুরি খেলা এক অসাধারণ দৃশ্য।

৩) প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে এটি যেকোনো পাহাড়ি গ্রামের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।

৪) ঐতিহাসিক গুরুত্ব: এখানে একটি প্রায় ১০০ বছরের পুরনো, ২৪ ফুট উঁচু চিমনি রয়েছে, যা ব্রিটিশ আমলের একটি বাংলোর ধ্বংসাবশেষ।

ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে এটি তৈরি করা হয়েছিল এবং এই চিমনি থেকেই গ্রামটির নাম 'চিমনি' হয়েছে। এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তাটি ছিল ওল্ড মিলিটারি রোড, যা একসময় শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার প্রধান পথ ছিল।

কীভাবে যাবেন চিমনি:

গাড়িতে: কলকাতা থেকে সড়কপথে কার্শিয়াং পর্যন্ত যাওয়া যায়। কার্শিয়াং থেকে চিমনি প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং সেখানে যাওয়ার জন্য স্থানীয় ট্যাক্সি বা প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করতে পারেন।

যদি যান ট্রেনে: কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) বা শিলিগুড়ির কাছাকাছি কোনো স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনে যাওয়া যেতে পারে। এরপর সেখান থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত ট্যাক্সি বা বাস নিতে পারেন। কার্শিয়াং স্টেশন থেকে চিমনি যেতে ট্যাক্সি বা জিপ লাগবে।

যদি যান বিমানে: শিলিগুড়ির কাছে বাগডোগরা বিমানবন্দর পর্যন্ত বিমানে যাওয়া যায়। সেখান থেকে কার্শিয়াং এবং পরে চিমনি পর্যন্ত ট্যাক্সি বা গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যেতে পারে।

অন্যান্য আকর্ষণ: এখানে নানা ধরনের ফুল ও অর্কিড দেখতে পাওয়া যায়। কান পাতলে শোনা যায় বিভিন্ন পাখির কলতান। শহরের কোলাহল থেকে দূরে শান্ত ও নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা।