সংক্ষিপ্ত

  • জল ফুটিয়ে নিন
  • ফিল্টার পদ্ধতি ব্যবহার করুন
  • জলে ক্লোরিনের ব্যবহার
  • জলে ফিটকিরি বা পটাশ মেশান

সারা দেশ জুড়ে যেভাবে জলসংকট দেখা দিয়েছে তাতে করে এখনই ব্যবস্থা না নিলে অদূর ভবিষ্যতেই ঘটে যেতে পারে এমন ঘটনা যার ফলে প্রাণের অস্তিত্বই প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে। ইতিমধ্যেই অনাবৃষ্টির জেরে দেশের নানা জায়গায় যেভাবে জল সংকট-এর মুখে পড়েছে তাতেই ইতিমধ্যেই বড়সড় বিপত্তির মধ্যে পড়েছে গোটা দেশ। আর সেই কারণেই জল অপচয় রোধের  ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।রইল এমন কয়েকটি উপায় যার সাহায্য খুব সহজেই অবিশুদ্ধ জল ফেলে না দিয়ে তা  বিশুদ্ধ করে নেওয়ার উপায়।

১) জল ফুটিয়ে নিন- এটি জল বিশুদ্ধ করার সবথেকে প্রাচীন পদ্ধতি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় ৫থেকে ২৫ মিনিট পর্যন্ত জল ফোটানো হলে জলের মধ্যে থাকা সব জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। তারপর সেই জল ছাকনির মাধ্যমে ছেঁকে নিলেই পাওয়া যাবে বিশুদ্ধ পানীয় জল। 

২) ফিল্টার পদ্ধতি ব্যবহার করুন- ফিল্টারের মাধ্য়মে জল বিশুদ্ধ করা হলে জ্বালানীর খরচও বাঁচে। বাজার চলতি যেকোনও ফিল্টারই ব্যবহার করার পক্ষে আদর্শ। তবে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখা দরকার, তা হল, ফিল্টার ব্যবহারের পর তা কিন্তু নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে কিন্তু বিশুদ্ধ জল পাবেন না।  
 
৩) জলে ক্লোরিনের ব্যবহার- জল বিশুদ্ধকরণের জন্য উপরিউক্ত পদ্ধতিদুটি কাজে না এলে জলের মধ্যে ক্লোরিন ট্যাবলেট ফেলে দিয়ে জলকে বিশুদ্ধ করা সম্ভব। সাধারণ বাইরে বেড়াতে গেলে সঙ্গে করে ক্লোরিন ট্যাবলেট বহন করতে পারেন। 

৪) জলে ফিটকিরি বা পটাশ মেশান- জলকে বিশুদ্ধ করার আরও  একটি উপায় হল জলের মধ্য পটাশ বা ফিটকিরি মেশানো। এর ফলে জলের মধ্য থাকা যাবতীয় ময়লা বা জীবাণু খুব সহজেই তলায় থিতিয়ে পড়ে। ফলে ওপর থেকে বিশুদ্ধ জলটি ছেঁকে নিলেই সব সমস্যার সমাধান। 

৫) সৌর পদ্ধতির ব্যবহার- প্রত্যন্ত এলাকার মানুষরা জলকে বিশুদ্ধ করার জন্য় এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে থাকেন। সাধারণ জলকে কয়েক ঘন্টা সুর্যালোকে রেখে দিলেই জলের মধ্য থাকা ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু নাশ হয় এবং জল পানের যোগ্য হয়ে ওঠে।