সংক্ষিপ্ত

আতঙ্কের আরও একটা কারণ ছিল টীকাকরণ। সে-সময় ব্রিটিশ সরকার গণ টীকাকরণের উদ্যোগ নিয়েছিল। বুঝতে সমস্যা হবার কথা নয়, একশো বিশ-বাইশ বছর আগে অন্ধ কুসংস্কার এবং গুজবের ভয়াবহতা ছিল এখনকার তুলনায় আরও ভয়ঙ্কর।
 

উনিশ শতকের গোড়ায় কলকাতা ঠিক এমনভাবেই সংক্রমিত। আঠারশো আটানব্বই থেকে উনিশশো আট— গোটা শহর তখন আতঙ্কে দিশাহারা। আতঙ্কের নাম “প্লেগ”। সংক্রমণের থেকেও আরও বড়ো সংক্রমণ ছিল ভয়। মানুষ ছুটছে, পালাচ্ছে অন্যত্র। যে শিশু বা বৃদ্ধ, অথবা যে পঙ্গু সূর্যের মুখ দেখে না নিয়মিত, তারা পর্যন্ত ছুটছে উদ্ভ্রান্তের মতো। কেউ বাস ধরবে, কেউ-বা ধরবে ট্রাম। দোকানপাট বন্ধ এবং পথে গাড়ি-ঘোড়ার অনুপস্থিতি— সব মিলিয়ে কলকাতা পরিত্যক্ত নগরীর চেহারা ধরেছিল। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার, সামান্য জ্বর-সর্দির খবর জানতে পারলেই, তাকে ধরে হাসপাতালে চালান করে দিচ্ছিল। এতে আতঙ্ক বাড়তে থাকল দ্বিগুন। বলা যেতে পারে হাসপাতাল যাবার ভয়েই মানুষ শহর ছাড়ছিল উদ্ভ্রান্তের মতো। 

আতঙ্কের আরও একটা কারণ ছিল টীকাকরণ। সে-সময় ব্রিটিশ সরকার গণ টীকাকরণের উদ্যোগ নিয়েছিল। বুঝতে সমস্যা হবার কথা নয়, একশো বিশ-বাইশ বছর আগে অন্ধ কুসংস্কার এবং গুজবের ভয়াবহতা ছিল এখনকার তুলনায় আরও ভয়ঙ্কর। এই অটোমেশনের যুগে’ও যদি গুজব ওঠে, বিল গেটস ভ্যাক্সিনের ভায়ালে গুপ্ত চিপ্ ভরে দিয়েছে, সেই কালে তবে গুজবের মাত্রা কেথায় যেতে পারে অনুমান করা যায় সহজেই। ওই চিপ্ নাকি রক্তে প্রবেশ করে জিন-তথ্য চুরি করে নেবে, ঠিক তেমনই তখন ধারণা ছিল, ব্রিটিশ সরকার গণ টীকাকরণ করে আসলে ভারতীয়দের ক্রীতদাস বানিয়ে রাখতে চায়। এমনকী, রামকৃষ্ণ মিশন থেকে এ-বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করা হলে মঠের সন্ন্যাসীদের উপরে আক্রমণও হয়। একটা মজার ঘটনাও ঘটে ওই সময়ে। স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতায় ফিরছিলেন দার্জিলিং থেকে। রাস্তার মানুষ তাঁর প্রতিও মারমুখী হয়ে উঠেছিল। স্বামীজির ব্যাগে না-কি প্লেগের টিকা আছে। অবশেষে হাত জোড় করে স্বামীজিকে বলতে হয়, তিনি ফকির মানুষ, পাহাড় থেকে ফিরছেন।

“চতুরঙ্গ” উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ, সুহৃদ জগমোহনের মৃত্যুকে তুলে আনলেন এইভাবে : “যে বছর কলিকাতা শহরে প্রথম প্লেগ দেখা দিল তখন প্লেগের চেয়ে তার রাজ-তকমা পরা চাপরাশী’র ভয়ে লোক ব্যস্ত হইয়াছিল।... পাড়ায় প্লেগ দেখা দিল। পাছে হাসপাতালে ধরিয়া লইয়া যায় এজন্য লোকে ডাক্তার ডাকিতে চাহিল না। জগমোহন স্বয়ং প্লেগ-হাসপাতাল দেখিয়া আসিয়া বলিলেন, ব্যামো হইয়াছে বলিয়া তো মানুষ অপরাধ করে নাই।” আতঙ্কের উর্দ্ধগামীতা কেবলমাত্র এমন কলমের পারদেই টের পাওয়া যায়। ‘একশো উনচল্লিশ’ নম্বর ধর্মতলা স্ট্রিট থেকে আচার্য্য জগদীশ চন্দ্র বসু সুহৃদ রবীন্দ্রনাথকে চিঠি লিখলেন:  “উপরের ঠিকানা থেকে বুঝিতে পারিয়াছেন যে, আমি পলাতক প্লেগের অনুগ্রহে। আমার একজন ভৃত্য ছুটি লইয়া একদিন বড়বাজার গিয়াছিল। সেইখান হইতে আসিয়া একদিন পরেই তার প্লেগ হয়। আর তিরিশ ঘণ্টা বাদেই হয় মৃত্যু। বাড়ি ছাড়িয়া আসিয়া উক্ত ঠিকানায় আছি— কতদিন পলায়ন চলিবে জানি না।”… এ কেবল জগদীশ চন্দ্র বসুর ক্ষেত্রেই নয়, প্রায় সকল কলকাতাবাসীর এমন অবস্থা দেখা দিয়েছিল। রবীন্দ্রনাথও চিঠি-পত্রাদিতে পরিচিত সকলকে সাবধান করতেন। পাড়ায় পাড়ায় নজরদারিতে যাওয়ার সময়েও প্রত্যেককে ঠিক উপায় অবলম্বনের পরামর্শ দিতেন। ঠিক যেমনটা এই আমরা বর্তমানে ফেসবুক বা হোয়্যাটস অ্যাপে সতর্কীকরণ ভাইরাল করে চলেছি। 
 
ভয়াবহ প্লেগের মহামারি সময়ে, রবীন্দ্রনাথ কেবল সাহিত্য রচনাতেই থেমে থাকেননি, সদ্য কলকাতায় পা-রাখা ভগিনী নিবেদিতাকে সঙ্গী করে নেমে এসেছিলেন রাস্তায়। রবীন্দ্রনাথের ওই অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা আমরা জানতে পারছি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কলমে। “জোড়াসাঁকোর ধারে” এই গ্রন্থে উনি লিখেছেন : “সেই সময়ে কলকাতায় লাগল প্লেগ। চারদিকে মহামারী চলছে, ঘরে ঘরে লোক মরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। রবিকাকা এবং আমরা এ-বাড়ির সবাই মিলে চাঁদা তুলে প্লেগ হাসপাতাল খুলেছি, চুন বিলি করছি। রবিকাকা ও সিস্টার নিবেদিতা পাড়ায় পাড়ায় তদারকিতে যেতেন। নার্স ডাক্তার সব’ই রাখা হয়েছিল।” 
   ঠাকুরবাড়ির প্রায় সকল সদস্যই রবীন্দ্রনাথের এই মানবিক যুদ্ধে সামিল হন। ‘ক্যালকাটা নোটস’ নামের ইংরেজী পত্রিকায় ভগিনী নিবেদিতা লিখেছেন, “আ ফিউ গ্রেট হিন্দু ফ্যামিলিজ নোটেবলি দ্য টেগোর’স, স্টুড ফার্ম ইন দ্য হোপ অফ অ্যালেয়িং দ্য অ্যাজিটেশন”। ঠাকুরবাড়ি যখন প্লেগ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে, সে সময়েই অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নয়-দশ বছরের মেয়ে প্লেগ আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বহু চেষ্টা করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ, তাঁর প্রভাব প্রাচুর্য্য সত্ত্বেও ব্যর্থ হ’ন শেষে। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাধ্য হয়ে চৌরঙ্গির এক বাড়িতে পালিয়ে যান। এবং ওই সময়েই তিনি বিখ্যাত “শাহজাহানের মৃত্যু” ছবিটি আঁকেন। ফুটফুটে কন্যাসন্তানের  মৃত্যুর যত বেদনা বুকে ছিল সব ঢেলে দিয়ে সেই বিখ্যাত ছবি এঁকেছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ পরে সে-ছবি প্রচ্ছদ হিসেবে ব্যবহার করেন। 

শুধু প্লেগ নয়, কলেরা বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো মহামারিতেও রবীন্দ্রনাথ সক্রিয় ভূমিকা নেন। উনিশশো পনেরো সালে বাংলায় কলেরা মারাত্মক আকার নেয়। ঠাকুরবাড়িতেও মৃত্যু হানা দেয়। রবীন্দ্রপুত্র শমীন্দ্রনাথ কলেরায় মারা যান। কবির লেখনী আরও শক্ত হয়ে ওঠে। ‘ওলাউঠার বিস্তার’ নামক প্রবন্ধে তিনি বিভিন্ন দেশে এ-রোগের বিস্তার নিয়ে আলোচনা করেন। “গোরা” উপন্যাসে হরিমোহিনীর স্বামী ও পুত্রের মৃত্যুর কথা লিখতে গিয়ে নিজের দুঃখের কথাই যেন ব্যক্ত করলেন তিনি—“যে দুঃখ কল্পনা করিলেও অসহ্য বোধ হয় তাহাও যে মানুষের সয়, ইহাই জানাইবার জন্য ঈশ্বর আমাকে বাঁচাইয়া রাখিলেন।” 

তারপরেই ঘটল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে এই সেই প্রাগৈতিহাসিক বিভৎস সর্দি কাণ্ড। যার পোষাকি নাম, “ইনফ্লুয়েঞ্জা”। এ তথ্য এখন সকলেরই জানা। প্লেগের পর পরই মহামারির আকার নেয় তখনকার ফ্লু। রবীন্দ্রনাথ আগে থেকেই সতর্ক হয়েছিলেন। এ বারে তিনি একেবারে কবিরাজের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। শান্তিনিকেতনে এই ফ্লু যাতে না-ছড়াতে পারে, তার জন্য তিনি ‘পঞ্চতিক্ত’ পাচন খাইয়েছিলেন প্রত্যেককে। উনিশশো সালের ইংরেজী নববর্ষে, বন্ধু জগদীশচন্দ্রকে এই পাচন উপহার দেন। সঙ্গে ছোট্ট একটি চিরকুটে লিখে দেন: “বৌমার  খুব কঠিন রকম নিউমনিয়া হয়েছিল। অনেক দিন লড়াই করে কাল থেকে ভাল বোধ হচ্ছে।… কিন্তু ছেলেদের মধ্যে একটিরও ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়নি। আমার বিশ্বাস, তার কারণ, আমি ওদের বরাবর পঞ্চতিক্ত পাঁচন খাইয়ে আসচি। আমার এখানে প্রায় দুশো লোক, অথচ হাসপাতাল প্রায়ই শূন্য পড়ে আছে। এমন কখনও হয় না যে! আমার দৃঢ় বিশ্বাস এটা নিশ্চয়ই পাঁচনের গুণে হয়েচে।”  বলে রাখি, আসলে এই পাচন ছিল নিম, গুলঞ্চ, বাসক, পলতা ও কন্টিকারির মিশ্রণ। রবীন্দ্রনাথের ভাবনায় নৈরাশ্য, নিরানন্দ, অনশন ও মহামারি প্রাচীন ভারতের ‘মন্দিরভিত্তি’-কে ভেঙে ফেলছে ক্রমশ। তবে এসব ‘আকস্মিক’ নয়। ‘দেশনায়ক’ প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন, “ম্যালেরিয়া-প্লেগ-দুর্ভিক্ষ কেবল উপলক্ষ মাত্র, তাহারা বাহ্যলক্ষ্মণমাত্র— মূল ব্যাধি দেশের মজ্জার মধ্যে প্রবেশ করিয়াছে।” 

এ এক অন্য রবীন্দ্রনাথ। যাঁকে আমরা কেউ চিনি না। এই রবীন্দ্রনাথ একজন স্বেচ্ছাসেবক রবীন্দ্রনাথ। এই রবীন্দ্রনাথ একজন সংস্কারক রবীন্দ্রনাথ... মানবদরদী রবীন্দ্রনাথ। গানে হোক বা কবিতায়, পথে হোক বা জনতায়… রবীন্দ্রনাথ মানে দুঃসময়ের শক্তি। আড়ালে একটা চারাগাছকে রাখলে, যেমন সে আলোর খোঁজে মাথা তোলে, কাদম্বরীর না-থাকার অন্ধকারের বেড়া ঠেলে রবীন্দ্রনাথ তেমনই যেন খুঁজে বেড়িয়েছিলেন এক অন্য আলোর পথ।
   প্রিয় কাদম্বরী যখন চলে গেলেন…  “তত্ত্ববোধিনী” পত্রিকায় ‘আত্মা’ প্রবন্ধে লিখলেন: ‘‘অন্ধকারকে অতিক্রম করিবার পথ অন্ধকারের মধ্যে যখন দেখা যায় না তখন তাহার মতো দুঃখ আর কী আছে! যে-আত্মবিসর্জন করতে পারে, আত্মার উপর শ্রেষ্ঠ অধিকার শুধু তারই জন্মাতে পারে।” রবীন্দ্রনাথ যেন ইঙ্গিত দিলেন, কাদম্বরীর মারা যাওয়া আসলে এক জরুরি ‘আত্মবিসর্জন’। যদিও এই উক্তির সঙ্গে মহামারির বিষয় সম্পর্কিত নয়, তবুও মৃত্যু বিষয়ক আলোচনায় রবীন্দ্রনাথের দর্শন এভাবেই চলে আসে। 

রবীন্দ্রনাথ কখনোই তার সন্তানদের সঙ্গে শয্যা ভাগ করেননি। একমাত্র মৃণালিণী দেবী চলে যাবার পরে, প্রিয় পুত্র শমীন্দ্রনাথের পাশে নিজের খাট গুছিয়ে নিয়েছিলেন। রাতের বেলায় শমী’র হাত ধরে থাকতেন পিতা রবীন্দ্রনাথ। সেই শমী যখন মুঙ্গেরে কলেরায় আক্রান্ত, দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন পিতা। উনিশশো সাত সালের চব্বিশে নভেম্বর শমী যখন মায়ের আকাশে যাবার জন্য প্রস্তুত, রবীন্দ্রনাথ তখন পাশের ঘরে ধ্যানমগ্ন। আত্মার সঙ্গে পিতার আত্মিক যোগাযোগ। রবীন্দ্রনাথ জানতেন সময় উপস্থিত। যে রবীন্দ্রনাথ স্ত্রী, কন্যা, পিতা সবাইকে তাঁদের মৃত্যুকালে নিজের হাতে ধরে পরলোকে পৌঁছে দিয়েছেন শয্যার পাশে থেকে, কী আশ্চর্য্য কেবল শমী’র সময়টাতেই উনি নিজেকে অন্তরালে নিয়ে চলে গেলেন। যাবার আগে ভূপেনবাবুকে শান্তভাবে ডেকে বললেন— “এ সময়ে আমার যাহা কিছু কৃত্য আমি করিয়া দিলাম। এখন অবশেষ কর্তব্যটুকু আপনি করুন।” শমীন্দ্রনাথের শিক্ষক ভূপেন্দ্রনাথ সান্যাল কিংকর্তব্যবিমূঢ় দাঁড়িয়ে রইলেন এক অসহায় পিতার সম্মুখে। মৃত্যুকে স্বীকার করে নিয়ে, তার দুয়ারে শমীর বড়ো প্রিয় শিক্ষককে এগিয়ে দেওয়ার সময়, রবীন্দ্রনাথের এ এক ভিন্ন রূপ। এ রবীন্দ্রনাথ… সাধক রবীন্দ্রনাথ। 

সে-সময়ে কলকাতাতেও কলেরা মহামারী। কন্যা মীরা প্রবল অসুস্থ। মৃত্যুশয্যায় বাকি সাথীরা। শমীর মৃত্যুর পর দিন আট নভেম্বর রেলপথে কলকাতা ফিরছেন সদ্য পুত্রহারা পিতা। জানালার লোহার শিক ভিজে উঠেছে রবীন্দ্র অশ্রুতে। ওইরূপ অবস্থানে তিনি লিখছেন — “রেলে আস্তে আস্তে দেখলুম জ্যোৎস্নায় আকাশ ভেসে যাচ্ছে, কোথাও যে কিছু কম পড়েছে তার লক্ষণ নেই। মন বললে, সমস্তের মধ্যে সবই গেছে, আমি’ও তার মধ্যে। সমস্তের জন্যে আমার কাজও বাকি রইল। বাকী সাথীদের বাঁচানোর দায়িত্বটুকু নিতে হবে । দিতে হবে প্রাণ… জ্যোৎস্না সমান।” 

মহামারীতে নিবেদিত প্রাণ… এ আর-এক রবীন্দ্রনাথ। মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে, ভানু ভলান্টিয়ার।  

লেখক পরিচিতি-  অনির্বাণ চৌধুরী- বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার সঙ্গে সঙ্গে এমবিএ ডিগ্রিধারী। কর্মরত এক বেসরকারি সংস্থায়। কিন্তু, লেখালেখি তাঁর রক্তে। অনিডায়েরি ও বন্ধুরা সোসাইটি-র সম্পাদক অনির্বাণ। তাঁর একটি প্রবন্ধ এবং একাধিক কবিতা সংকলন ও গীতরচনা, নাট্যগ্রন্থের লেখক। তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সম্মানেও সম্মানিত হয়েছেন।  

সংকলনা- জয় ভদ্র, "হরপ্পা", "হাজার শতাব্দীর রূপকথা অথবা রাজনৈতিক বিষণ্ণতা", "ইডিকেস"-এর মতো বইয়ের লেখক তিনি, নয়ের দশকের শেষ লগ্ন থেকে লেখালেখি শুরু। "হরপ্পা" অনূদিত হয়েছে হিন্দি ভাষায়। এছাড়াও তার ছোটগল্পগুলো একসময় হিন্দি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ছিলেন এক বিশেষ পত্রিকার কার্যকরী সম্পাদক। একটা সময়  মূলত সাংবাদিকতার সঙ্গে সঙ্গে চালিয়ে গিয়েছিলেন সাহিত্যকর্ম। এই মুহূর্তে পুরোপুরি সাহিত্যেই মনোনিবেশ করেছেন। গল্প, উপন্যাস যেমন তাঁর অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র তেমনি পুস্তক সমালোচনা এবং নাট্য-সমালোচক হিসাবেও সমাদৃত হয়েছেন।