সংক্ষিপ্ত
- করোনা নিয়ে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট
- বিপাকে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ
- সাংসদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি
- ফেসবুকে পাল্টা পোস্ট পুলিশেরও
করোনা মোকাবিলায় প্রশাসনিক অব্যবস্থার হাতেগরমে প্রমাণ দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ফল হল উল্টো। সোশ্যাল মিডিয়ার ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ভিডিও পোস্ট করে বিপাকে পড়লেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফেসবুকে পাল্টা পোস্ট দিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফে।
ঘটনাটি ঠিক কী? পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে দক্ষিণ ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন অনেকেই। লকডাউনের জেরে সকলেই আটকে পড়েছিলেন। জানা দিয়েছে, যাঁদের সামর্থ্য আছে, তাঁরা এখন অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে ফিরে আসছেন। ঘাটালের বাসিন্দা এক অ্যাম্বুল্যান্স চালকের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, একজন রোগীকে চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ ভারতে যান তিনি। ফেরার পর এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে, প্রথমে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষপর্যন্ত ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালককে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
দক্ষিণ ভারত যোগেই কি জেলায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে? ভেলোর, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু-সহ ভিনরাজ্য ফেরত রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের স্বাস্থ্য পরীক্ষার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। গত তিন সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ ভারত থেকে যাঁরা ফিরছেন, তাঁদের ওড়িশা সীমানা লাগোয়া দাঁতনের সোনাকানিয়া এলাকায় আটকাচ্ছিল পুলিশ। তারপর পর্যায়ে ক্রমে সকলেই পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছিল খড়গপুরের আইআইটি হাসপাতালে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যদি করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে, সেক্ষেত্রে রোগী ও তাঁদের পরিজনরা ফিরে যাচ্ছিলেন বাড়িতে। পুলিশের বক্তব্য, রোগীদের ভিড় বেড়ে যাওয়ার গোটা প্রক্রিয়াটির গতিও কমে যায়। তাই ভিন রাজ্য ফেরত ব্যক্তিদের থাকার ব্যবস্থা করা চেকপোস্ট লাগোয় একটি লজে। সেখান থেকে ধীরে ধীরে তাঁদের স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
জানা গিয়েছে, ওই লজে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কয়েকজন পুলিশের বিরুদ্ধে অব্যবস্থার অভিযোগ তোলেন এবং একটি ভিডি পোস্ট করে দেন সোশ্যাল মিডিয়াও। ভিডিওটি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। এখানেই শেষ নয়। সেই ভিডিও-টি আবার নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি ও খড়গপুরে সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে ক্যাপশন, 'হাল দেখুন , পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রের | দাঁতন , পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা |'
এই ঘটনার পর ফেসবুকে পাল্টা পোস্ট দেওয়া হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফে। জানানো হয়েছে, ভিডিও-তে যেটিকে ইন্সস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বলা হচ্ছে, সেটি আসলে একটি লজ। যাঁরা ভিডিও শেয়ার করছেন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষও যে বাদ যাবেন না, তাও বলার অপেক্ষা রাখে না।