সংক্ষিপ্ত
- মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে তৈরী হবে ঔষধী
- জেলের আবাসিকরাই তৈরী করবে সেগুলি
- জেল চত্বরেই শুরু হয়েছে ঔষধী চাষ
- চাষ শুরু করেছেন বন্দী আবাসিকরা
সংশোধনাগারে বন্দী থাকা বন্দীরা বর্তমানে বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত থেকে রোজগারের সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের কাজে লাগিয়ে এবার সাধারণ মানুষের জন্য ঔষধি গাছ চাষ করা হচ্ছে মেদিনীপুর শহরে। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দী থাকা ৫০ জনের বেশি বন্দী এই কাজ করছেন প্রতিদিন।জেল চত্বরেই পড়ে থাকা পতিত জমিতে এই চাষ শুরু হয়েছে ৷
পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দী রয়েছেন বারোশ-র বেশি বন্দী। যাদের মধ্যে রয়েছেন বিচারাধীন বন্দী, সাজাপ্রাপ্ত বন্দি। মাওবাদী নাশকতার মত মামলাতেই বন্দি রয়েছেন চারশোরও বেশি। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের মধ্য থেকে অনেক বন্দীদের জীবনের মূল স্রোতে ফেরার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যাদের আচার-ব্যবহার ভালো, বন্দী থাকা কালীন পুরনো রেকর্ড যাদের ভালো- তাদের জেলের বাইরে গিয়ে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এমন ৫০ জনের বেশি বন্দী রয়েছেন যারা জেলের বাইরে বেরিয়ে প্রতিদিন চাষের কাজ করছেন।ফিরে আসছেন সময়ে ৷
বন্দীরা কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার চত্বর থেকে একশো মিটার দূরে একটি পতিত জমিতে শুরু করেছেন চাষের কাজ। সংশোধনাগারের উদ্যোগে ওই জমিতে তুলসী সহ বিভিন্ন রকমের ঔষধি চারা লাগানো হচ্ছে। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে তারা ওই জমির মাটি তৈরি করে চলেছেন কোদাল দিয়ে। বেশ কিছুটা জমিতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রকমের ঔষধি চারা লাগিয়ে দিয়েছেন। রোজ দুবেলা ওই গাছগুলির দেখভাল করেন নিজেরাই।
কারা দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কারা মন্ত্রকের নির্দেশেই এই উদ্যোগ। বিভিন্ন রকম ঔষধি গাছ উৎপাদন করে তা দিয়ে জেলের ভেতরে ঔষধ প্রস্তুত করা হবে। বাজারজাত করে পাওয়া আয় পাবেন বন্দীরাই। ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার এর ভেতরে গামছা সহ বিভিন্ন মাটির দ্রব্য প্রস্তুত করার কাজ করছে বন্দীরা। মুড়ি সহ বিভিন্ন রকম খাবারও তৈরি হয় জেলের ভেতরে। এবার সাধারন মানুষের জন্য ঔষধি তৈরি করবেন তারা।