সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনে বন্দিদশায় দিন কাটছে মানুষের
- লোকালয়ে আনাগোনা বাড়ছে বন্যপ্রাণীদের
- অচেনা' সরীসৃপকে ঘিরে আতঙ্ক চন্দ্রকোনায়
- প্রাণীটিকে উদ্ধার করেছে বনদপ্তর
লকডাউনে গৃহবন্দি মানুষ, বন্যপ্রাণীদের আনাগোনা বাড়ছে লোকালয়ে। কুমির মতো দেখতে প্রাণীকে ঘিরে মঙ্গলবার সকালে আতঙ্ক ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা টাউনে। খবর পেয়ে প্রাণীটি উদ্ধার করে বনদপ্তর।
আরও পড়ুন: ভুট্টাক্ষেতে চোখ জ্বলছে 'বাঘ'-এর, লকডাউনে হুলস্থুল রায়গঞ্জে
চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের বাগপোতা গ্রাম। লকডাউনের জেরে শুনসান রাস্তাঘাট, প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন কেউই। তালা ঝুলছে ক্লাবঘরের দরজায়ও। মঙ্গলবার সকালে সেই ভাঙা দরজায় নজর পড়তেই চক্ষু চড়কগাছ! প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ক্লাবঘরে ভিতরে ঢুকে পড়েছিল প্রায় ছ'ফুট লম্বা একটি সরীসৃপ। প্রাণীকে দেখতে অবিকল কুমিরের মতো। ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে। ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাণীটিকে উদ্ধার করেন বনকর্মীরা।
জানা গিয়েছে, বাগপোতা গ্রাম থেকে যে প্রাণীটিকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি কুমির নয়, গাগরোল। এরা সাধারণত বড় নদী কিংবা জলাশয়ে থাকে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর গাগরোলটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে নদীতে। বাগপোতা গ্রাম থেকে শিলাবতী নদীর দূরত্ব মেরেকেটে চারশো মিটার। বনদপ্তরের প্রাথমিক অনুমান, নদী শুকিয়ে যাওয়ার কারণে জলজ প্রাণীটি ঢুকে পড়েছিল লোকালয়ে।
আরও পড়ুন: বাইক থেকে ছড়িয়ে পড়ছে হাজার হাজার টাকা, কুড়িয়ে নিয়ে করোনা আতঙ্কে রায়গঞ্জ
উল্লেখ্য, লকডাউনে মাঝেই সোমবার বাঘের আতঙ্ক ছড়ায় উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করে মশাল হাতে ভট্টাক্ষেতে নেমে পড়েছিলেন অনেকেই। বনদপ্তরের দাবি, বাঘ নয়, সম্ভবত বাঘরোল কিংবা বনবিড়াল জাতীয় কোনও প্রাণীকেই দেখা গিয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।