সংক্ষিপ্ত
২৬/১১ মুম্বই হামলা নিয়ে বিরাট বড় স্বীকারোক্তি
পাকিস্তানের গোয়েন্দা রিপোর্টেই ফাঁস সত্যি
জানা গেল লস্কর জঙ্গিদের নাম ঠিকানা
তবে সেই তালিকায় নেই মূল চক্রীদের নাম
২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলা নিয়ে বিরাট বড় স্বীকারোক্তি এল পাকিস্তানের দিক থেকে। বুধবার পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগশন এজেন্সি বা এফআইএ এক রিপোর্টে পাকিস্তানের ১২১০ জন হাই প্রোফাইল এবং মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীর কথা উল্লেখ করেছে। তার মধ্যেই রয়েছে ২৬/১১ হামলার সঙ্গে জড়িত অন্তত ১১ জনের নাম। মূল হামলাকারীদের কারোর নাম না নেওয়া হলেও, যে নৌকাটি নিয়ে করাচি থেকে মুম্বই এসেছিল জঙ্গিরা, সেই নৌকাটির ক্যাপ্টেন , ক্রু সদস্য এবং নৌকা ও অন্যান্য সরঞ্জাম যে কিনেছিল, তার নামও রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই লস্কর-ই-তৈবার সদস্য।
২০০৮ সালে এই সন্ত্রাসবাদী হামলায় ব্যবহার করা হয়েছিল আল ফৌজ নামে একটি নৌকা। মুলতানের বাসিন্দা মহম্মদ আমজাদ খান ওই নৌকাটি কিনেছিল। এছাড়া করাচি থেকে ইয়ামাহা সংস্থার একটি মোটর ইঞ্জিন, লাইফ জ্যাকেট, ইনফ্লেটেবল নৌকাও কিনেছিল সে। তার নামের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদীদের ব্যবহৃত আল-হুসেইনি ও আল-ফৌজ নৌকাদুটির ক্যাপ্টেন বাহওয়ালপুরের বাসিন্দা শাহিদ গফুর-এর নামও রয়েছে এফআইএ-র তালিকায়।
এছাড়া এফআইএ-র তালিকায় রয়েছে নৌকাদুটির ৯ ক্রু সদস্যেরও নামও। এরা হলেন - সহিওয়াল জেলার মহম্মদ উসমান, লাহোরের আতিক-উর-রহমান, হাফিজাবাদের রিয়াজ আহমদ, গুজারওয়ালার মহম্মদ মোস্তাক, ডেরা গাজী খান জেলার মহম্মদ নইম, সরগোদা জেলার আবদুল শাকুর, মুলতানের মহম্মদ সাবির, লোধন জেলার মহম্মদ উসমান এবং রহিম ইয়ার খান জেলার শাকিল আহমদ।
মুম্বই হামলায ব্যবহৃত নৌকাদুটির ক্যাপ্টেন ও ক্রু সদস্যরা পাকিস্তানের, এই কথা স্বীকার করে নিলেও ২৬ / ১১ হামলার মূল চক্রী তথা লস্কর-ই-তৈবা প্রধান হাফিজ সইদ, পুলওয়ামায় হামলার মূল চক্রী তথা জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার, মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম-এর মতো আন্তর্জাতিক স্তরের এবং রাষ্ট্রসংঘের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসবাদীদের নাম পাক গোয়েন্দাদের তালিকায় নেই। বদলে অদ্ভূতভাবে সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় রাখা হয়েছে মুত্তাহিদা কাওয়ামি মুভমেন্টের নেতা আলতাফ হুসেন, পিএমএলএন-এর নেতা নাসির বাট-এর মতো পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলির বিভিন্ন নেতাদের নাম।