সংক্ষিপ্ত
লাহোরের অ্যান্টি টেররিজম আদালত পাক সরকারকে হাফিজ সইদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, মুম্বাই হামলা এবং ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদে হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড এই হাফিজ সইদ।
বেশ বড় ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্তই বলা চলে। কারণ পাকিস্তান ২৬-১১ হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদকে জেলে পুরছে, এই দৃশ্য শেষ কবে দেখা গিয়েছিল মনে পড়ে না। বরং পাকিস্তানের নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে হাফিজ সইদ ও তার বাকি সঙ্গীরা খোলা আকাশের নীচে দিব্যি গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এই ছবি দেখতেই অভ্যস্ত বিশ্ব।
তবে কাঁটা কি ঘুরল? কারণ পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালত হাফিজ সইদকে ৩১ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর লাহোরের অ্যান্টি টেররিজম আদালত এই রায় দিয়েছে। এরই সঙ্গে হাফিজের বিরুদ্ধে তিন লক্ষ ৪০ হাজার টাকার জরিমানাও করা হয়েছে।
লাহোরের অ্যান্টি টেররিজম আদালত পাক সরকারকে হাফিজ সইদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, মুম্বাই হামলা এবং ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদে হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড এই হাফিজ সইদ।
এর আগে এই ধরনের পাঁচটি মামলায় ৭০ বছর বয়সী এই মৌলবাদী ধর্মগুরুকে ইতিমধ্যেই ৩৬ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। কারাদণ্ডের মোট সাজা একই সাথে চলবে। একজন আইনজীবী সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, সঈদকে অনেক বছর জেলে থাকতে হতে পারে কারণ তার সাজা একই সাথে চলবে।
সঈদ হলেন একজন রাষ্ট্রসঙ্ঘের কালো তালিকাভুক্ত জঙ্গি যার উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার রেখেছে। সন্ত্রাসে অর্থায়নের মামলায় তাকে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সইদ-এর নেতৃত্বাধীন জামাত-উদ-দাওয়াহ (JuD) হল লস্কর-ই-তৈবা (LeT) এর অন্যতম সংগঠন। এটি ২০০৮ সালে মুম্বই হামলা চালানোর জন্য দায়ী। এই হামলায় ছয় আমেরিকান সহ ১৬৬ জনকে হত্যা করা হয়েছিল।
JuD প্রধান হাফিজ মহম্মদ সইদ, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ (JeM) এর প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা মাসুদ আজহার এবং মুম্বই হামলার প্রধান অপরাধী জাকি-উর-রহমান লাখভি ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের মধ্যে রয়েছেন।
এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (ইউএপিএ) আওতায় মামলা করা হয়েছে এবং বোমা বিস্ফোরণ, হত্যা এবং অন্যান্য ষড়যন্ত্রের মতো বিভিন্ন ভারত বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার জন্য ভারত সরকারের মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তিদের তালিকায় স্থান পেয়েছে।
উল্লেখ্য, লস্কর ই তৈবার সদস্য হাফিজ সাইদের বিরুদ্ধে অর্থায়নের অভিযোগে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পঞ্জাব প্রদেশের পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট বিভিন্ন শহর জুড়ে জামাত সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রায় ৪১টি অভিযোগ দায়ের করেছিল। যার মধ্যমে ৩৭ জনের বিচার শুরু হয়েছে।