সংক্ষিপ্ত
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক (Foreign Office) গোটা ঘটনাটি স্বীকার করে ও জানায় যে অ্যাকাউন্টগুলি হ্যাক করা হয়েছে। হ্যাক হওয়া অবস্থায় যে যে পোস্টগুলি করা হয়েছে, তার সঙ্গে পাক দূতাবাসের কোনও কর্মী কোনও সম্পর্ক নেই।
এবার পাকিস্তানের দূতাবাসে হ্যাকারদের হানা। হ্যাক করা হল আলজেরিয়ায় পাকিস্তান দূতাবাসের (Pakistan’s embassy in Algeria) সব কটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট (Social media accounts)। হ্যাক করা হয় দূতাবাসের টুইটার (Twitter), ফেসবুক (Facebook) ও ইনস্টাগ্রাম পেজ (Instagram accounts)। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে হইচই শুরু হয়। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক (Foreign Office) গোটা ঘটনাটি স্বীকার করে ও জানায় যে অ্যাকাউন্টগুলি হ্যাক করা হয়েছে। হ্যাক হওয়া অবস্থায় যে যে পোস্টগুলি করা হয়েছে, তার সঙ্গে পাক দূতাবাসের কোনও কর্মী কোনও সম্পর্ক নেই। এই পোস্টগুলি মিশনের অন্তভুর্ক্ত নয়।
তবে প্রাথমিকভাবে এই খবর যখন প্রকাশিত হয়, তখন বেশ সন্দেহ তৈরি হয়েছিল আদৌও হ্যাকিংয়ের খবর সত্যি কিনা। কারণ আলজেরিয়ায় পাকিস্তানের দূতাবাসের টুইটার হ্যান্ডেলটি কোনও ভেরিফায়েড পেজ নয়। ফলে বিভ্রান্তি ছড়ায়। টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয় "পাকিস্তানি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য ইউক্রেনে তহবিল সরানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।"
পোস্টে আরও দাবি করা হয় যে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে কোনও পাকিস্তানি নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হয়নি এবং দূতাবাসের কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার জন্য তহবিল নেই। পোস্টে আরও প্রশ্ন করা হয় যে পাকিস্তানি নাগরিকরা পালানোর জন্য ভারতীয় পতাকা ব্যবহার করেছে, তাদের তহবিলের জন্য কি ভারতের সাহায্য নেওয়া উচিত।
গত বছর, সার্বিয়ায় পাকিস্তানের দূতাবাসের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল ইমরান খান সরকারের সমালোচনা করে। তাদের অভিযোগ ছিল রেকর্ড-ব্রেকিং মুদ্রাস্ফীতি এবং গত তিন মাস ধরে বেতন দেওয়া হয়নি। স্বভাবতই বেশ অস্বস্তিতে পড়ে পাকিস্তান সরকার। ভিডিওটি পোস্ট করা হয় খোদ দূতাবাস কর্মীদের তরফেই। ক্যাপশনে লেখা হয়, মুদ্রাস্ফীতি আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে, আপনি ইমরান খান কতদিন আশা করেন যে আমরা সরকারি কর্তারা চুপ করে থাকব। গত ৩ মাস ধরে বেতন না পেয়ে আপনার জন্য কাজ করব। ফি না দেওয়ার কারণে আমাদের বাচ্চাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এটাই কি নয়া পাকিস্তান?"
এদিকে এই ভিডিওটি ব্যাপক ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আলোচনাও শুরু হয়েছে বিস্তর। খোদ পাক সরকারের দূতবাস থেকে এই ধরণের প্রতিবাদী পদক্ষেপ অতীতে নেই বললেই চলে। আর সেকারণেই পাক দূতাবাস কর্মীদের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলের মূল চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
এদিকে, বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র, একটি টুইট বার্তায় দাবি করেছেন যে বেলগ্রেডে মিশনের টুইটার, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টগুলি হ্যাক করা হয়েছে।