সংক্ষিপ্ত

  • নরেন্দ্র মোদীর হাতে ভারতের পরমাণু অস্ত্রাগার
  • গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
  • ভারতের প্রথমে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করার নীতি বদলের ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজনাথ সিং
  • তাতেই কেঁপে গিয়েছে পাকিস্তান

নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের হাতে ভারতের পরমাণু অস্ত্রাগার থাকাটা কতটা নিরাপদ ও সুরক্ষিত তাই নিয়ে বিশ্বের সকলের গুরুত্ব দিয়ে ভাবার সময় এসেছে, এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইমরান খান। দিন কয়েক আগেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ভারতের প্রথমে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করার নীতিতে বদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তারপরই পাক প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করলেন।


নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের হাতে ভারতের পরমাণু অস্ত্রাগার থাকাটা কতটা নিরাপদ ও সুরক্ষিত তাই নিয়ে বিশ্বের সকলের গুরুত্ব দিয়ে ভাবার সময় এসেছে, এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইমরান খান। দিন কয়েক আগেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ভারতের প্রথমে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করার নীতিতে বদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তারপরই পাকি প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করলেন।

এদিন ইমরান টুইট করে বলেন, 'ভারতের পরমাণু অস্ত্রাগার ফ্যাসিস্ট, বর্ণবিদ্বেষী, হিন্দু আধিপত্যবাদী মোদী সরকারেস হাতে কতটা সুরক্ষিত ও নিরাপদ তা মোদী সরকারের তা বিশ্বের গুরুত্ব সহকারে ভাবা উচিত। এই সমস্যাটা আঞ্চলিক নয়, গোটা বিশ্বেই এর প্রভাব পড়বে।

এখনও পর্যন্ত ভারত পরমাণু অস্ত্র 'প্রথমে ব্যবহার করা হবে না', এই নীতি নিয়ে চলে। অর্থাৎ অন্য কোনও দেশ পরমাণু হামলা করলে, প্রত্যুত্তরেই পরমাণু অস্ত্রে হাত দেওয়া হবে। কিন্তু গত শুক্রবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন ভবিষ্যতে 'পরিস্থিতি' কী থাকবে, তার উপর নির্ভর করবে এই নীতিতে কোনও বদল আসবে কি আসবে না।

তাঁর এই বিবৃতিই পাকিস্তানকে নাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তনের মিত্র দেশ হিসেবে পরিচিত চিন থেকে শুরু করে পরমাণু শক্তিধর অধিকাংশ দেশই পরমাণু অস্ত্র 'প্রথমে ব্যবহার করা হবে না' নীতিতে চলে। কিন্তু পাকিস্তান এই নীতি গ্রহণ করেনি। অর্থাৎ পাকিস্তানের নীতি অনুযায়ী তারা চাইলে প্রথমে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।  

তারপরেও ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিবৃতিকে বড় করে দেখাতে চাইছে তারা। পাক প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি সেই দেশের বিদেশ মন্ত্রক এই নিয়ে সরকারি বিবৃতি পর্যন্ত দিয়েছে। শনিবার তারা বলেছে, 'সময় ও পরিস্থিতি'-র বিচারে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বিবৃতি, 'অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক'। এই বিবৃতর মধ্য দিয়ে 'ভারতের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও যুদ্ধাংদেহী মনোভাব'-ও প্রকাশ পেয়েছে বলে দাবি করা হয়।