সংক্ষিপ্ত
বাচ্চাকে খাওয়াতে অধিকাংশ মায়েরাই হাতে মোবাইল দিয়ে দেন। এতে সে চুপ করে খেয়ে নেয় ঠিকই। কিন্তু, মোবাইল হাতে নিয়ে ক্ষতি হচ্ছে তারই। এভাবে মায়েরা নিজের অজান্তেই বাচ্চাকে মোবাইলের নেশা ধরান। ছোট বয়সে এই সমস্যা বোঝা না গেলেও, বয়স বাড়ার সঙ্গে সমস্যা বাড়ে। বাচ্চার মোবাইলের প্রতি আসক্তি ক্রমে বেড়ে চলে। এতে বাচ্চা শুধু চোখের ক্ষতি হয় তা নয়, সঙ্গে মস্তিষ্কেরও এর প্রভাব পড়ে। আর রইল তিনটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস। বাচ্চাকে মোবাইলের নেশা ছাড়াতে মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা। জেনে নিন কী করলে মোবাইলের নেশা কমবে।
প্রায় ৯০ শতাংশ বাচ্চা খাওয়া নিয়ে জেদ করে। মুখে খাবার নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকে। হাজার বকাতে কাজ হয় না। এদিকে না খেলেও হবে না। তাই বাচ্চাকে খাওয়াতে অধিকাংশ মায়েরাই হাতে মোবাইল দিয়ে দেন। এতে সে চুপ করে খেয়ে নেয় ঠিকই। কিন্তু, মোবাইল হাতে নিয়ে ক্ষতি হচ্ছে তারই। এভাবে মায়েরা নিজের অজান্তেই বাচ্চাকে মোবাইলের নেশা ধরান। ছোট বয়সে এই সমস্যা বোঝা না গেলেও, বয়স বাড়ার সঙ্গে সমস্যা বাড়ে। বাচ্চার মোবাইলের প্রতি আসক্তি ক্রমে বেড়ে চলে। এতে বাচ্চা শুধু চোখের ক্ষতি হয় তা নয়, সঙ্গে মস্তিষ্কেরও এর প্রভাব পড়ে। আর রইল তিনটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস। বাচ্চাকে মোবাইলের নেশা ছাড়াতে মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা। জেনে নিন কী করলে মোবাইলের নেশা কমবে।
সময় দিন বাচ্চাকে। অধিকাংশ সময় বাচ্চারা একা থাকে। এর থেকে মোবাইলের প্রতি আসক্তি তৈরি হয়। এই ভুল হতে দেবেন না। একাকীত্য বাচ্চাকে একবার গ্রাস করলে তারই ক্ষতি। তাই বাচ্চাকে সময় দিন। যতই কাজ থাকুক বাচ্চার জন্য নির্দিষ্ট সময় বের করুন। তার সঙ্গে খেলা করুন, গল্প করুন। তবেই বাচ্চার মোবাইলের প্রতি আসক্তি ধীরে ধীরে কমে যাবে।
সম বয়সীদের সঙ্গে মিশতে শেখান বাচ্চাকে। রোজ নিয়ম করে খেলতে নিয়ে যান। আজকাল অধিকাংশ বাচ্চার জীবন কাটে বাড়িতে। তাদের কাছে ভার্চুয়ল দুনিয়া বেশি গুরুত্ব পায়। এবার থেকে বাচ্চাকে রোজ খেলতে নিয়ে যান। পড়ার বাইরে খেলাধুলা, গান, সাঁতার এসবের সঙ্গে যুক্ত রাখুন। তবেই তার মোবাইলের প্রতি আসক্তি কমবে। এই টোটকা বেশ উপকারী। এই উপায় মোবাইলে থেকে দূরে রাখুন।
এই সবের সঙ্গে মোবাইলের প্রতি নিজের অ্যাডিকশন কমান। অধিকাংশ মায়েরাই কারণ ছাড়া মোবাইল স্ক্রল করেন। আবার সারাক্ষণ সেলফি তোলেন। মায়ের এমন আচরণ দেখে বাচ্চারা শেখে। সে কারণে মোবাইলে প্রতি আপনার আসক্তি কমানোও সবার আগে দরকার। তবেই বাচ্চার এই স্বভাবের পরিবর্তন হবে। মনে রাখবেন সারাদিন মোবাইল ঘাঁটা কারও জন্যই ভালো নয়। এতে একাধিক সমস্যা হতে পারে। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য আপনার অজান্তেই হতে পারে মানসিক চাপ। এবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সময়ও নির্দিষ্ট রাখুন। তবে, আপনি ও বাচ্চা দুজনেই ভালো থাকবেন।
আরও পড়ুন- নিয়মিত এই কাজ করলে সন্তানের মুখ দেখতে পারবেন না পুরুষরা, সতর্ক হোন
আরও পড়ুন- মাত্র এই ৪ সহজ কাজে সহজেই বাড়বে স্তনের আকার, জেনে নিন কিভাবে
আরও পড়ুন- থাইরয়েডের সমস্যায় মেয়েদের সমস্যা বেশি, জেনে নিন কী করবেন আর কী করবেন না