সংক্ষিপ্ত
দীর্ঘ সময়ে পরেও মেলেনি মেসেজের রিপ্লাই। তবুও মেসেজেকুমারীর সঙ্গেই শেষ অবধি বিয়ে প্রেমিক চিকিৎসকের।
দীর্ঘ সময়ে পরেও মেলেনি মেসেজের রিপ্লাই। তবুও মেসেজেকুমারীর সঙ্গেই শেষ অবধি বিয়ে প্রেমিকের। ভাবছেন ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিংয়ের (Yuvraj Singh) কথা হচ্ছে কিনা। নানা যুবরাজ পত্নি হেজেল কিচ নন। এহেন প্রেম-প্রণয়ের ব্য়াতিক্রমী লিস্টে নাম লিখিয়েছেন শহরেরই এক চিকিৎসক কন্যা। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার পোস্ট করা খবরটি ভাইরাল। বিয়ে করেছেন সেই সতীর্থ সিনিয়র চিকিৎসককেই (Doctor)।
ভাললাগার মানুষটিকে নিজে মুখে কিছু বলেছেন, অথচ উত্তর আসেনি। ভেঙে গিয়েছে মন। হয়তো একটা সময় অপেক্ষাও শেষ হয়েছে। আর ফিরে তাঁকাননি সেই পথে। কিন্তু তাঁকালে উল্টোটাও হতে পারতো। তাঁর জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ এই মুহূর্তে হালদার দম্পতি। ২০২১ এর ডিসেম্বরেই বিয়ের পিড়িতে বসেছেন প্রথম মেসেজের দীর্ঘ ১১ বছর পর চিকিৎসক জুটি। যজ্ঞের গনগনে আগুনের সামনে ঘটের উপর এক হয়েছে দুই জোড়া হাত। তবে অপেক্ষা করলে যে সবসময় নিরাশই হতে হয়, এমন বস্তা পচা কনসেপ্ট আরও একবার ভূল প্রমাণ করেছেন চিকিৎসক রঞ্জুশ্রী মণ্ডল এবং অমিত হালদার।ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মন খুলেছেন সদ বিবাহিত চিকিৎসক রঞ্জুশ্রী মণ্ডল। তার পোস্ট করা খবরটি ভাইরাল। তিনি লিখেছেন, ২০১৯ সালে অবস্ট্রেটিকস এন্ড গাইনোকলজির প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় অমিত হালদারের। একসঙ্গে কাজ করতেন, সিনিয়ার হিসেবে অমিতকে পছন্দও করতেন তিনি। তখন অবশ্য তেমন বিশেষ কথা-বাত্র হত না। এদিকে আচমকা বহু দিনে পরে ফেসবুক খুলে অনলাইনে অমিতকে মেসেজ করতে গিয়ে চমকে ওঠেন চিকিৎসক রঞ্জুশ্রী মণ্ডল। দেখেন ২০১১ সালে মেসেজ করেছিলেন অমিত। এদিকে সেটা দেখাও হয়নি তাঁর। সেই শুরু। মেসেঞ্জারের স্ক্রিণ শট নিয়েই তিনি লিখেছেন, ধীরে ধীরে তাঁদের সম্পর্ক গভীর হয়েছে। তাই আরও একবার প্রমাণিত 'সবুরে মেওয়া ফলে।'
আরও পড়ুন, LGBTQ marriage: সমাজের চোখে চোখ রেখে একসঙ্গে চলার প্রতিশ্রুতি, আংটি বদল দুই বঙ্গতনয়ার
তবে হাল ছেড়ো না বন্ধু, এগান আগেও একজন গেয়েছেন। তাঁদেরটা যদিও দীর্ঘ ১১ বছেরের রিপ্লাই না দেওয়া গল্প নয়। তবে একজন নিখাদ ভালবেসে ৩ বছরেও কোনও রিপ্লাই পাননি। তিনি আর কেউ নন, ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিংহ। এবং মেসেজ পরে উত্তর না দেওয়া মানুষটি হেজেল কিচ। তবে শেষ অবধি যুবরাজেরই জয় হয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁরা সুন্দরতম দাম্পত্য জীবন উপভোগ করছেন। এই ঘটনাটি অবশ্য যুবরাজ নিজেই ভারতের একটি বিখ্যাত কমেডি শোয়ে এসে শেয়ার করেছিলেন।