সংক্ষিপ্ত
প্রেমিকের ফ্লাটিং করার স্বভাব অনেক দিনেরই। বিষয়টি আগে তেমন গুরুত্ব না দিলেও আজকাল এটাই বিরক্ত লাগছে। সে যে সম্পর্কে Loyal তা হয়তো জানেন। এর পরেও সে ফ্লাটিং করে। মেনে চলুন কয়টি টিপস। জেনে নিন প্রেমিকের Flirting করার স্বভাব পরিবর্তন করবেন কী করে।
রিয়া ও আর্য দুজনে কলেজে এক সঙ্গে পড়াশোনা করত। সেখানেই আলাপ। কলেজে ওরা খুব ভালো বন্ধু ছিল। আর্যর ফ্লাটিং করার স্বভাব। এটা রিয়ার খারাপ লাগত প্রথমে। কিন্তু, বন্ধুত্বে থাকাকালীন আর এগুলো কিছু মনে হত না। কলেজ শেষ হওয়ার পর বহুদিন বন্ধুত্ব ছিল। হঠাৎ-ই আর্য রিয়াকে প্রোপোজ করে। রিয়াও না করেনি। বেস্ট ফ্রেন্ড যদি প্রেমিক হয়, তাহলে ক্ষতি কি? এই ভেবে কাটছিল ভালোই। দেখতে দেখতে সম্পর্ক তিন বছর পার করল। কিন্তু, আজকাল বড্ড অশান্তি হচ্ছে। আর্যর আচরণে রিয়া বড্ড বিরক্ত বোধ করছে। আর্যর ফ্লাটিং করার স্বভাব অনেক দিনেরই। বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দিত না রিয়া। তবে, আজকাল এটাই বিরক্ত লাগছে। আর্য যে সম্পর্কে Loyal তা সে জানে। কিন্তু, এর পরেও কেন আর্যর ফ্লাটিং করার স্বভাব গেল না, সেটা ভেবে পায় না রিয়া। রিয়ার মতো অবস্থা আপনার হলে মেনে চলুন কয়টি টিপস।
তাড়াহুড়ো করবেন না ভুলেও। প্রেমিকের আচরণ (Attitude) আপনার খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক। কিন্তু, ঝগড়া করবেন না। এতে সম্পর্ক আরও খারাপ হবে। অনেকেরই কথায় কথায় ঝগড়া করার স্বভাব থাকে। এতে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যায়। মাথা গরম করলে কী বলছেন তা অনেকেরই জ্ঞান থাকে না। ফলে, ভুল কথা বলে ফেলেন। তাই নিজের ধৈর্য্য (Patience) রাখুন। সে সকলের সঙ্গে ফ্লাটিং (Flirting) করে নাকি শুধু একজনের সঙ্গে তা বোঝার চেষ্টা করুন।
নিষ্পাপ সাজবেন না। আপনি যেন কিছুই বোঝেননি এমন আচরণ করবেন না। মনে কথা চেপে রাখবেন না। এতে অভিমান ও খারাপ লাগা দুটোই জমতে থাকবে। প্রেমিকের ফ্লাটিং (Flirting) স্বভাব নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলুন। খোলামেলা আলোচনা করুন। ঝগড়া না করে তাকে বোঝান আপনার খারাপ লাগাটা। কেন সে এমন করছে তা জানার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন: প্রেম ভাঙার পর জীবনের খেই হারিয়ে ফেলেছেন, মেনে চলুন এই টোটকা
আরও পড়ুন: Long Distance Relationship-এ এই ভুলগুলো করবেন না, থেকে যায় সঙ্গীকে হারানোর ভয়
নিজের মনকে প্রশ্ন করুন, সত্যিই কি আপনাকে ভালোবাসে সে। নাকি নিজে জোর করে সম্পর্ক ধরে রেখেছেন। সত্যি আপনাকে ভালোবাসলে এমন কি করা উচিত? প্রেমিককে (Boy Friend) প্রশ্ন করুন। যদি দেখেন, সম্পর্কটা শুধুই এক তরফা, তাহলে বেরিয়ে আসাই ভালো। তা না হলে, পরে সমস্যা আরও বাড়বে। তবে, সম্পর্ক শেষ করার আগে অবশ্যই আলোচনা (Discuss) করুন। নিজের মনের মতো ভেবে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না।