সংক্ষিপ্ত
মহিলা লিখেছেন, আমার স্বামী সহকর্মীদের খাবারের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বন্ধুদের সামনে মহিলাপ স্বামী তাঁকে গৃহিনী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। পাশাপাশি তাঁর পুরো নামও বন্ধুদের জানাননি।
এখন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে। সংসারের আর্থিক দায়িত্বকে দুজনেই নিজেদের সমান দায়িত্ব বলে মনে করে। আর সেইজন্য অনেক মহিলাই বর্তমানে অফিস-কাছারিতে কাজ করেন। মহিলার পূর্ণ সজ্ঞা এখন হোমমেকার। কিন্তু সম্প্রতি রেডিট প্ল্যাটফর্মে এমনই একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যেখানে স্বামী নিজের বন্ধু বা সহকর্মীদের কাছে নিজের স্ত্রীকে ওয়ার্কিং ওমানের পরিচয় দিতে লজ্জা পেয়েছেন। পরিবর্তে স্ত্রীকে হাউসওয়াইফ বলে সম্বোধন করেছেন। কিন্তু তারপর কী হল জানেন?
রেডিট নামের সেই প্ল্যাটফর্মে সেই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, যেখানে সংশ্লিষ্ট মহিলা সেই আপমানজনক রাতের কথা লিখে জানিয়েছিলেন প্রতিবাদে তিনি কী করেছেন। তারপর অবশ্যই তিনি জানতে চেয়েছেন তিনি ভুল না ঠিক।
মহিলা লিখেছেন, আমার স্বামী সহকর্মীদের খাবারের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বন্ধুদের সামনে মহিলাপ স্বামী তাঁকে গৃহিনী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। পাশাপাশি তাঁর পুরো নামও বন্ধুদের জানাননি। এই ঘটনার পরই মহিলা তাঁর স্বামীর দিকে একটি বিষভরা চাউনি দেন। তারপর হাসতে হাসতে স্বামীর বন্ধুদের জানান তিনি গৃহিনী। কিন্তু পুরো সময়ের জন্যই একটি অফিসে কাজ করেন। অফিসে গেলে তিনি কর্মী আর বাড়িতে থাকলে তিনি গৃহিনী। তারপরই স্বামী বিষয়টি পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছিলেন। বন্ধুরা কী পান করতে চাইছেন সেই দিয়ে আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে নিয়ে যান।
এখানেই শেষ নয়। এই ঘটনার রেশ গড়ায় রাত পর্যন্ত। কারণ মহিলা জানিয়েছেন স্বামী যে তাঁর ওপর অসন্তুষ্ট তা তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। রাতে তাদের বাড়িতে ছিল চাপা শান্তি। তবে স্বামী জানিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বাললেই ভালো হয়। তাঁকে একা এই নিয়ে অভিযোগ জানালেই চলত।
এই পর্যন্ত লেখার পরই মহিলা জানতে চেয়েছেন তিনি কী কোনও ভুল করেছেন। সংসারের জন্যই তিনিও ঘরে বাইরে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছেন। সেখানে এইটুকু স্বীকৃতি তিনি আশা করেন।