মধ্য প্রদেশের উজ্জয়িনে বিয়ের আসর বসেছিল।  রমেশলালের দুই মেয়ে নিকিতা আর করিশ্মার বিয়ের আসর বসেছিল একসঙ্গে। পাত্র ভোপালের বাসিন্দা ভোলা আর গণেশ । বিয়ের সময়ই হঠাৎই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশসহ দেশের বেশ কয়েক রাজ্যে বর্তমানে লোডশেডিং একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু পাওয়ার কাট যে মানুষের জীবনে এমন বিপত্তি ডেকে আনবে তা হয়তো কোনও দিনও কেউ ভাবতে পারেননি। বিদ্যুত বিভ্রাটের কারণে একজোড়া নবদম্পতির জীবনে নেমে এল বিভ্রান্তি। 

মধ্য প্রদেশের উজ্জয়িনে বিয়ের আসর বসেছিল। রমেশলালের দুই মেয়ে নিকিতা আর করিশ্মার বিয়ের আসর বসেছিল একসঙ্গে। পাত্র ভোপালের বাসিন্দা ভোলা আর গণেশ । বিয়ের সময়ই হঠাৎই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু অন্ধকারেই পুরোহিত মন্ত্র পড়া বন্ধ করেনি। বিয়ের লগ্ন পেরিয়ে যাবে এই আশঙ্কায় বিয়ের অনুষ্ঠানও চলছিল প্রথা মত। 

দুই বোনের একসঙ্গে বিয়ে- তাই সাজ পোশাকও ছিল অনেকটা একই রকম। রমেশলাল দুই মেয়ের জন্য একই রঙের আর একই রকম শাড়িও কিনেছিলেন। পোশাক এক হওয়ায় পাত্রী

Scroll to load tweet…

গুলিয়ে ফেলেন দুই পাত্র। তাঁরা অন্য পাত্রীর গলায় মালা পরিয়ে দেন। মালাবদল থেকে সাতপাকে ঘোরা বিয়ের সব আচার যখন সারা তখনই খেয়াল হয় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বদল হয়ে গেছে বিয়ের পাত্রী।

বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক হতেও ছড়িয়ে পড়ে বিভ্রান্তু। ভোলা আর গণেশ দেখতে পান বদল হয়ে গেছে পাত্রী। তারপরই শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। কিন্তু পরের দিন সকাল বেলাই দুই পাত্র নিজের নিজের পছন্দ করা পাত্রী নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। 

দুই কনের বাবা রমেশ জানিয়েছেন তাঁর দুই মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল গত ৫ মে। বিয়ের আসরে লোডশেডিং হয়ে গিয়েছিল। উভয় কনের পোশাক এক হওয়ায় পাত্ররা গুলিয়ে ফেলেছিল কে তাদের পত্রী। যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। তবে কিছু পরেই তা ঠিক হয়ে যায়।