সংক্ষিপ্ত
গোটা দিন অফিসে কাটালেও আজকাল কাজের কোনও উদ্যোগ পান না। অফিস (Office) যেতে ইচ্ছে করে না। এমনকী, কাজটাও আজকাল ভালো লাগছে না। এমন ঘটনা ঘটে অনেকেরই সঙ্গে। জেনে নিন ঠিক কী কী কারণে কাজে একঘেঁয়েমি আসতে পারে।
রোজ যেন একঘেঁয়ে জীবন। সকালে উঠে থেকে ব্যস্ত (Busy) জীবন। ভোর হতে না হতেই রেডি (Ready) হয়ে অফিস যাওয়া। সারাদিন সেখানে কঠিন পরিশ্রম। কমপিউটার থেকে মুখ তোলার সময় নেই। দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে আর কারও সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছে টুকু থাকে না। ছুটির দিনে অফিস নেই তো কি, ঘরে বসে প্রেজেন্টেশন তৈরিতে সারাটা দিন কেটে যায়। এই একঘেঁয়ে একেবারে ভালোলাগে না। গোটা দিন অফিসে কাটালেও আজকাল কাজের কোনও উদ্যোগ পান না। অফিস (Office) যেতে ইচ্ছে করে না। এমনকী, কাজটাও আজকাল ভালো লাগছে না। এমন ঘটনা ঘটে অনেকেরই সঙ্গে। জেনে নিন ঠিক কী কী কারণে কাজে একঘেঁয়েমি আসতে পারে।
নতুন কোনও চ্যালেঞ্জ না থাকলে সেই কাজের উদ্যোগ পান না অনেকেই। রোজ এক রকম কাজ করতে বছরের পর বছর কারও ভালো লাগে না। আপনি যদি বস হন, তাহলে জুনিয়রদের (Junior) কাজের উদ্যোগ বাড়াতে চাইলে তাদের নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলুন। নতুন কোনও টাস্ক দিন। তবেই সে কাজে উদ্যোগ পাবে।
ভুল পেশায় (Profession) গেলে সেখানে বেশিদিন কেউ কাজ করতে পারে না। তাই পরিস্থিতির চাপে পেশা নির্বাচন করবেন না। নিজের মন যে কাজ করতে চায়, সেই কাজকেই পেশা হিসেবে বেছে নিন। মনের মতো কাজ করলে সেই কাজ করার আগ্রহ থাকবে সব সময়। তা না হলে বেশিদিন কাজ করতে পারবেন না।
যে কাজে অধিক চাপ রয়েছে, সেই কাজ করতে উদ্যোগ হারানো স্বাভাবিক। আজকাল সব অফিসই কর্মীদের ওপর কাজের বোঝা বাড়িয়ে চলেছেন। বসের দেওয়ার টার্গেট মিট (Target Meet) করতে গিয়ে কমছে কাজের গুণগত মান। তাই প্রয়োজনে না বলতে শিখুন। অতিরিক্ত চাপ নেবেন না। সব সময় স্ট্রেস মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
কাজের পরিবেশের সকলের কাছে গুরুত্ব পায়। অফিসে যদি মন খুলে শ্বাস নিতে না পারেন, তাহলে সে কাজে বেশি দিন ভালো লাগবে না। তাই নতুন কাজে যোগ দেওয়ার পর সবার সঙ্গে মেশামেশা করুন। সকলের সঙ্গে আপনার বন্ডিং (Bonding) যত ভালো হবে, তত আপনি কাজে উদ্যোগ পাবেন। তা না হলে, অপছন্দের পরিবেশে বেশিদিন আপনার ভালো নাও লাগতে পারে।