সংক্ষিপ্ত

অপরা একাদশী অচলা একাদশী নামেও পরিচিত। অপরা একাদশী বা অচলা একাদশীর উপবাস করে এবং এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করলে মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। এর সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তির দুঃখ-কষ্ট দূর হয়, সে মোক্ষ লাভ করে।

 

প্রতি মাসের উভয় একাদশীই ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গ করা হয়। এভাবে বছরে ২৪টি একাদশী আসে। তবে এই একাদশীর মধ্যে কয়েকটি বিশেষ বলে মনে করা হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীও এর মধ্যে একটি। এই একাদশীকে অপরা একাদশী বলা হয়। এবার অপরা একাদশী পালিত হচ্ছে ১৫ মে, সোমবার অর্থাৎ আজ। অপরা একাদশী অচলা একাদশী নামেও পরিচিত। অপরা একাদশী বা অচলা একাদশীর উপবাস করে এবং এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করলে মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। এর সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তির দুঃখ-কষ্ট দূর হয়, সে মোক্ষ লাভ করে।

অপরা একাদশীর শুভ সময়-

অপরা একাদশী তিথি ১৫ মে, ২০২৩ তারিখে দুপুর ২ টো ৪৬ মিনিটে শুরু হবে এবং ১৬ মে, ২০২৩ তারিখে বেলা ১ টা ৩ মিনিটে শেষ হবে। এভাবে উদয়তিথি অনুসারে ১৫ মে অপরা একাদশী হিসেবে গণ্য হবে। অন্যদিকে, অপরা একাদশী উপবাসের পরান সময় হবে সন্ধ্যা ৬ টা ৪১ মিনিট থেকে পরদিন সকাল ৮ টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত।

অপরা একাদশীতে আজই করুন এই কাজটি-

অপরা একাদশীতে বিষ্ণু যন্ত্র পূজার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এছাড়া অপরা একাদশীর উপবাসের কাহিনী শুনলেই অপরা একাদশীর উপবাস সম্পন্ন বলে গণ্য হয়। অতএব, আজই অপরা একাদশী বা অচলা একাদশীর উপবাসের গল্প শুনুন।

অপরা একাদশীর গল্প

পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, মহিধ্বজ নামে এক রাজা ছিলেন, তিনি প্রচুর দান-সাধনা করতেন। কিন্তু রাজার ছোট ভাই বজ্রধ্বজের বড় ভাইয়ের প্রতি ক্ষোভ ছিল এবং সুযোগ পেয়ে একদিন সে রাজাকে হত্যা করে। তিনি রাজার মৃতদেহ একটি অশ্বত্থ গাছের নিচে পুঁতে দেন। অকালমৃত্যুর কারণে রাজার আত্মা ভূত হয়ে অশ্বত্থ গাছে বসবাস শুরু করে। এই অতৃপ্ত আত্মা পথচারীদের বিরক্ত করত।

 একদিন সেখান থেকে এক ঋষি যাচ্ছিলেন। তিনি রাজার কাছে অন্য জগতের জ্ঞান প্রচার করেছিলেন। এর সঙ্গে রাজাকে অশুভ শক্তি থেকে মুক্ত করার জন্য ঋষি অপরা একাদশীর উপবাস করার উপদেশও দিয়েছিলেন। পরের দিন দ্বাদশী তিথি এলেই ঋষি তার উপবাসের পুণ্য রাজার অসুর আত্মাকে দান করেন। একাদশীর পুণ্য লাভের পর রাজা অশুভ আত্মা থেকে মুক্ত হয়ে স্বর্গে চলে যান।