সংক্ষিপ্ত
বাঙালিরা সাধারণত জুই, বেল, গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা , রজনীগন্ধার ফুল ব্যবহার করেন। কেশসজ্জায় ফুলের ব্যবহার বদলে দেবে আপনার ভাগ্য।
ভারতীয় মহিলারা বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত অনুষ্ঠানে মাথায় ফুল গোঁজেন। তাঁরা চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ফুলদিয়ে নিজেদের সাজাতে ভালবাসেন। কিন্তু এই ফুল অনেক সময়ই মহিলাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ভাগ্য বদলাতে সাহায়্য করে। দক্ষিণ ভারতের মহিলারা সারা বছরই মাথায় ফুল বা ফুলের মালা লাগান। কিন্তু বাঙালি মহিলারা শুধুমাত্র অনুষ্ঠানেই ফুল বা ফুলের মালা মাথায় লাগান। বাঙালিরা সাধারণত জুই, বেল, গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা , রজনীগন্ধার ফুল ব্যবহার করেন। তবে একটি ফুল এমন রয়েছে, যদি ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু এই ফুলটি ব্যবহার করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে বলেও জ্যোতিষ অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয়।
জুই
গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় এক ছড়া জুই ফুলের মালা যদি মাথায় গোঁজেন কোনও মহিলা তাহলে সেই সন্ধ্যের আমেজই বদলে যায়। গ্রীষ্মের বিয়েবাড়ি জুই ফুলের গন্ধে মোমো করে। যাইহোক জ্যোতিষমতে মনে করা হয় জুই ফুলের মাথা সৌভাগ্য আর সমৃদ্ধির প্রতীক। এটি মহিলাদের চলার পথ প্রসস্থ করে।
বেল
জুই ফুলের মত বেল ফুলয়ও সুগন্ধের জন্য খ্যাত। বেল ফুলের মালা মহিলাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। দাম্পত্যে সুখ নিয়ে আসে। অনেক সময় নতুন কনের মাথায় বেল ফুলের মালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।
গোলাপ
প্রেমের প্রতীক হল গোলাপ। এটি চুনে লাগালে প্রেমিককে কাছে টানতে সফল হন মহিলারা। কোনও পুরুষের মন পেতে হল মহিলারা গোলাপ ফুল চুলে ব্যবহার করতেই পারেন।
চন্দ্রমল্লিকা
এটি দেখতে দারুন। এই ফুল চন্দ্রদেবের প্রিয়। জ্যোতিষ মতে বিশ্বাস এই ফুলের মালা যদি মহিলারা মাথায় লাগান তাহলে মহিলাদের পরিবারে সুখ আর শান্তি বজায় থাকে।
রজনীগন্ধা
রজনীগন্ধার মালা ছাড়া বাঙালি বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠানই হয় না। বিয়ে থেকে শ্রাদ্ধ যে কোনও অনুষ্ঠানে এই ফুলটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। রজনীগন্ধার মালা যদি কোনও মহিলা মাথায় লাগান তাহলে তিনি ভগবান বিষ্ণুর কৃপা পাবেন। তাতে পরিবারে সুখ আর সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।
জবা
এই ফুল পুজোয় ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কোনও মহিলা এই ফুলের মালা কেশসজ্জার জন্য ব্যবহার করেন না। তবে জবা ফুল কালী ঠাকুরের প্রিয়। আর সেই কারণে এই ফুল যদি কেশসজ্জার কাজে ব্যবহার করা হয় তাহলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। বৃদ্ধি পায় মানসিক দৃঢ়়তা।