সংক্ষিপ্ত

সাত দিনে এক সপ্তাহ। কিন্তু হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী এই সাত দিনের মধ্যে মাত্র দুই দিনই চুল কাটার জন্য শুভ।

 

হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী কোন কোন দিন কোন কোন কাজ করলে শুভ ফল পাওয়া যায় তা বিস্তারিত বলা রয়েছে। সেইমত কাজ করলে সৌভাগ্যের অধিকারী হওয়া যায়। কিন্তু তার অন্যথা হলে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা দিতে পারে। সেইসময় চুল কাটারও বিশেষ দিন রয়েছে হিন্দু শাস্ত্রে। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী

সাত দিনে এক সপ্তাহ। কিন্তু হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী এই সাত দিনের মধ্যে মাত্র দুই দিনই চুল কাটার জন্য শুভ। যদিও প্রাচীন কালে মহিলা পুরুষের মধ্যে চুল কাটার রেওয়াজ তেমন ছিল না। তবে বিশেষ অনুষ্ঠান বা ধর্মীয় কারণে অনেক সময়ই পুরুষরা ন্যাড়া হতেন বা মস্তক মুণ্ডন করতেন। তবে তার জন্য বিশেষ দিনের প্রয়োজন হত না। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সেই কাজ করা হত। কিন্তু আধুনিককালে পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে চুল কাটেন। কেউ প্রয়োজনে কেই আবার নিছকই সৌন্দর্য রক্ষার জন্য। তাতে কোনও বাধা নেই হিন্দুশাস্ত্রে। কিন্তু চুল কাটার দিন মেনেটে তা কাটাই শ্রেয়।

হিন্দু শাস্ত্রের বিধান অনুযায়ী সপ্তাহে মাত্র বুধ ও শুক্রবারও চুল কাটা শ্রেয়। এই দুই দিন চুল কাটলে দেবতার আশীর্বাদ পাওয়া যায়। তাতে অনেকেই সৌভাগ্যের অধিকারী হয়েছেন। কিন্তু বাকি দিনগুলিতে চুল কাটা খুবই খারাপ। শাস্ত্র অনুযায়ী বুধবার চুল কাটলে চাকরি ও ব্যবসায়ী উন্নতি হতে পারে। শুক্রবার চুল কাটলে জীবনে সুখ আর সমৃদ্ধি আসে। তবে শনি ও বৃহস্পতিবার চুল কাটা একদমই উচিৎ নয়। শনিবার চুল কাটলে শনিদেব রুষ্ট হন। আর বৃহস্পতিবার মহিলারা চুল কাটলে মা লক্ষ্মীর কোপে পড়তে পারেন। সোম ও মঙ্গলবারও চুল কাটলে বিপদের সম্ভাবনা বাড়তে পারে। সোমবার শিব ঠাকুরের দিন। তাই এই দিন চুল না কাটাই শ্রেই। আর মঙ্গলবার বজরংবলীর দিন। তাতে ভগবান বজরংবলীর কোপে পড়তে পারেন।

হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী রবিবার চুল কাটা ঠিক নয়। কারণ তাতে আত্মবিশ্বাস কমে যায়। জীবনে উন্নতির পথ কঠিন হয়। তবে রবিবার ছুটির দিন। তাই অনেকেই এদিন হাতে সময় থাকার জন্য সেলুনে ভিড় করেন। তবে রবিবার চুল কাটলেও বাড়ি ফিরে স্নান সেরে সূর্যদেবতাকে জল উৎসর্গ করলে সমস্যার সমাধান হতে পারে।

হিন্দু শাস্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী চুল কাটার পর সর্বদা স্নান করতে হয়। জামাকাপড় পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হয়। হিন্দু শাস্ত্রমতে জন্মবারে চুল কাটা কখনই উচিৎ নয়।