সংক্ষিপ্ত
পুরাণ মতে তুলসীর বিয়ে হয়েছিল ভগবান কৃষ্ণের সঙ্গে। দিনটি হল ২৪ নভেম্বর। এই দিন হিন্দুধর্মে অত্যান্ত পবিত্র। অগ্রাহণ মাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথিতে তুলসীর সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুর বিয়ে হয়েছিল।
বাঙালিদের অগ্রাহণ মাস বিয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পুরাণমতে অগ্রাহণ মাসে সীতার বিয়ে হয়েছিল। আর মাসেই বিয়ে হয়েছি তুলসীর। তাই বিয়ের জন্য অত্যান্ত শুভ। কিন্তু অনেকেই এমন রয়েছে যাদের বিয়ে বারবার ঠিক হয়েও ভেঙে যায়। বিয়ের কথাবার্তার সময়ও নানা ধরনের বাধা তৈরি হয়। কিন্তু সেই কারণেই রইল বিয়ের বাধা কাটানোর সহজ প্রতিকার। নারী বা পুরুষ বিয়ের বাধা সহজেই কেটে যায় তুলসীর বিয়ের দিন এই কাজগুলির করলে।
পুরাণ মতে তুলসীর বিয়ে হয়েছিল ভগবান কৃষ্ণের সঙ্গে। দিনটি হল ২৪ নভেম্বর। এই দিন হিন্দুধর্মে অত্যান্ত পবিত্র। অগ্রাহণ মাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথিতে তুলসীর সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুর বিয়ে হয়েছিল। প্রাচীনকাল থেকেই এই ধর্মীয় প্রথাটি আমাদের কাছে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর অবিবাহিতদের কাছেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তুলসী মায়ের আশীর্বাদে এই দিনটিতে কয়েকটি কাজ করলে বিয়ের বাধা সহজে দূর হয়ে যায়।
বিয়ের বাধা কাটাতে প্রতিকার-
১. বিয়ের বাধা কাটাতে তুসীর বিয়ের দিনে বিশুদ্ধ জলের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে তুলসী গাছে নিবেদন করুন। এই সময় একটি মন্ত্র জপ করুন। বলুন- ওম সৃষ্টিকর্তা মমো বিবাহ করু কুরু স্বহা। এত বৃহস্পতির প্রভাব কেটে যায়।
২. বিয়েতে সমস্যা দূর করতে বিষ্ণু আর তুলসীর পুজো করুন। তুলসী হলেন নারায়ণের প্রিয়া। আর সেই কারণে তুলসী আর নায়ারণের বিয়েতে যাদের জীবনে বিয়ের কাটা দূর হয়ে যাবে। তুলসীর আশীর্বাদে আপনিও যোগ্য সঙ্গী পেয়ে যেতে পারেন।
৩. তুলসীর বিয়ের দিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠুন। তারপর স্থান সেরে দেবী তুলসীকে ষোলো শৃঙ্গারের উপকরণ নিবেদন করুন। তাতে দেবীর আশীর্বাদে যোগ্য সঙ্গী পাবেন। দ্রুত বিয়ের বাধা দূর হবে।
৪. তুলসীর বিয়ের দিন সকালে তুলসীয় তলায় ধূপ আর বাতি দিন। মোমের বাতির পরিবর্তে অবশ্যই ঘি বা তেলের বাতি দিলে দেবীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
৫. তুলসীর বিয়ে দিন একটিও তুলসী পাতা গাছ থেকে ছিঁড়বেন না। তবে ঝরা পাতা গুলি তুলসী গাছের গোড়ায় রেখে দিন। দেবীর ঝরা পাতাতেও জাগ্রত থাকেন।