সংক্ষিপ্ত

সত নব চণ্ডী যজ্ঞ হিন্দুধর্মের একটি অত্যন্ত শক্তিশালী, অসাধারণ এবং বড় যজ্ঞ। এই যজ্ঞের পাঠ শুধুমাত্র একজন অত্যন্ত যোগ্য এবং বিদ্বান ব্রাহ্মণ দ্বারা করা হয়। এই চণ্ডী যজ্ঞে ৭০০টি শ্লোক পাঠ করা হয়।

হিন্দু ধর্মে পূজা, উপবাস ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করলে দেব-দেবীর বিশেষ আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয় এবং জীবনে চলা নানা বাধা বিপত্তি দূর হয় বলে বিশ্বাস। হিন্দুধর্মে, বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিশেষ অনুষ্ঠান করা হয়। আজ আমরা আপনাকে মা দুর্গার সাথে সম্পর্কিত পাঠ করার বিষয়ে বলতে যাচ্ছি। মা দুর্গাকে বলা হয় শক্তির দেবী।

মা দূর্গাকে খুশি করার জন্য যে যজ্ঞের আয়োজন করা হয় তাকে বলা হয় সত চণ্ডী যজ্ঞ। এই চণ্ডী যজ্ঞ অত্যন্ত কার্যকর ও শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। এই যজ্ঞের আয়োজনে মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। কুণ্ডলীতে উপস্থিত অশুভ গ্রহের প্রভাব কম থাকে। ভাগ্য বাড়ে। নিরন্তর চণ্ডীযজ্ঞের আয়োজন করলে আপনার শত্রুদের বিনাশ হয় এবং কর্মক্ষেত্রে আসা বাধা দূর হয়।

শনি চণ্ডী যজ্ঞের সম্পূর্ণ পদ্ধতি

সত নব চণ্ডী যজ্ঞ হিন্দুধর্মের একটি অত্যন্ত শক্তিশালী, অসাধারণ এবং বড় যজ্ঞ। এই যজ্ঞের পাঠ শুধুমাত্র একজন অত্যন্ত যোগ্য এবং বিদ্বান ব্রাহ্মণ দ্বারা করা হয়। এই চণ্ডী যজ্ঞে ৭০০টি শ্লোক পাঠ করা হয়। এতে মা দুর্গার বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এই যজ্ঞ সর্বদা পৌরাণিক যুগে ঋষি, ঋষি, দেবতা এবং অসুরদের দ্বারা অপরিমেয় শক্তি অর্জনের জন্য সংগঠিত হয়েছিল। প্রথমত, সাত চণ্ডী যজ্ঞের উপযুক্ত স্থানে হবন কুণ্ডের পঞ্চভূত সংস্কার করা হয়।

এ জন্য কুশের এক প্রান্ত থেকে বেদি পরিষ্কার করা হয়। তারপর যজ্ঞ কুণ্ডে গোবর দিয়ে প্রলেপ দেওয়া হয়। তারপর এই তিনটি উল্লম্ব রেখা বাম থেকে দক্ষিণ থেকে উত্তরে বেদীর মাঝখানে আঁকা হয়। তারপর অনামিকা দিয়ে হবন কুণ্ড থেকে কিছু মাটি ফেলে ডান হাতে বিশুদ্ধ জল দিয়ে বেদীতে ছিটিয়ে দিন। এইভাবে পঞ্চভূত আচারে বেদীতে আগুন জ্বালিয়ে অগ্রীদেবের পূজা করুন। অতঃপর গণেশ সহ সকল দেবতার পূজা করে মা দুর্গার পূজা শুরু করুন।