সংক্ষিপ্ত
এই মন্দিরটি কৈমুর এবং আশেপাশের জেলাগুলিতে বেশ বিখ্যাত। আধাউড়া পাহাড়ে অবস্থিত এটি। বহু বছর ধরে এখানে ভোগে বিড়ি নিবেদন করার প্রথা চলে আসছে। এই মন্দিরটি ভগবানপুর থানার অন্তর্গত আধৌরা ও ভগবানপুর সীমান্তে অবস্থিত।
বিহারের কাইমুর পাহাড়ের নাম আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন, যা বিভিন্ন কারণে আলোচনায় থাকে। এই পাহাড়ে এমন অনেক জায়গা আছে যেগুলো শুধু খুব বিখ্যাতই নয়,অদ্ভুত কিছু কারণে বেশ ইউনিকও। সেই জায়গাগুলির মধ্যে একটি হল মুশারভা বাবার মন্দির। এই মন্দিরটি কৈমুর এবং আশেপাশের জেলাগুলিতে বেশ বিখ্যাত। আধাউড়া পাহাড়ে অবস্থিত এটি। বহু বছর ধরে এখানে ভোগে বিড়ি নিবেদন করার প্রথা চলে আসছে। এই মন্দিরটি ভগবানপুর থানার অন্তর্গত আধৌরা ও ভগবানপুর সীমান্তে অবস্থিত।
এটি বিশ্বাস করা হয় যে মুশারভা বাবা মন্দিরের মধ্যে দিয়ে যেই যান না কেন, সে অবশ্যই এখানে একবার থামবে। এটা না মানা হলে নাকি তাদের দুর্ঘটনার শিকার হতেই হয়। আর এটা নাকি সত্যি ঘটে। এই জায়গায় যাঁরাই মন্দিরে না গিয়ে পেরিয়ে গেছে, তারাই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। তাই মানুষ এখানে থেমে মুশারভা বাবার দর্শন করে এবং বিড়ি নিবেদন করে। মুশারভা বাবার মন্দিরে সারাক্ষণ বিড়ি রাখা হয়।
কবে থেকে এই ঘটনার সূচনা হয় তার কোনো তথ্য নেই
মানুষ বিশ্বাস করে যে মুশারভা বাবার মন্দিরে বিড়ি জ্বালানো এবং এখানে মাথা নত করার প্রথা অনেক পুরনো। দুর্ঘটনার ভয়ও এর পেছনে একটি বড় কারণ। এই রাস্তাটি ভগবানপুর, আধৌরা হয়ে উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র জেলায় যায়। এই মন্দিরে বিড়ি নিবেদনের রীতিটা একটু অদ্ভুত। কবে থেকে বিড়ি দেওয়ার প্রথা শুরু হয়েছিল সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না।
দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে
বাবনি গ্রামের মহাদেব সিং জানান, এই পাহাড়ের নিচ থেকে আসা প্রতিটি গাড়ি এখানে ১০ থেকে ১৫ মিনিট থামে। আগে এখানে একটি ছোট মন্দির ছিল। এখানে যে বাবা আগে পূজা করতেন তিনি মারা গেছেন। পরে তার মূর্তি স্থাপন করা হয়। এখানে বিড়ি দেওয়ার রীতি রয়েছে। যারা এটি অফার করে না তারা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। মহাদেব আরও জানান, এখানে ছোট-বড় প্রতিটি গাড়ি থামে। না থামলে একটা ঘটনা ঘটে। বড় যানবাহনে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এমনকি বাইক চালকদেরও এখানে থামতে হয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।