সংক্ষিপ্ত
এই বছর শ্রাবণের বদলে ভাদ্র মাসে পালন করা হচ্ছে এই ঝুলনযাত্রা।ঝুলনের আরেক অর্থ দোলনা। ওইদিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্য দোলনা সাজানো হয়। আর সেই দোলনায় বসিয়ে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধাকে দোল দেওয়া হয়। এছাড়া ভক্তিমূলক গান, নাচের আয়োজন করা হয় এই দিন।
শ্রীকৃষ্ণের ভক্তদের কাছে ও বাংলার এক ঐতিহ্যবাহী উৎসব ঝুলনযাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। তবে বর্তমানে শহরাঞ্চলে এই উৎসবের রেশ ক্ষীণ হয়ে আসছে। কিন্তু আজও গ্রাম্য অঞ্চলে বাংলার এই ঐতিহ্য টিকে রয়েছে। শ্রাবণ মাসের অমাবস্যার পরের একাদশী থেকে শুরু হয় শ্রাবণী পূর্ণিমা। তখনই এই ঝুলনযাত্রা হয়।
তবে এই বছর শ্রাবণের বদলে ভাদ্র মাসে পালন করা হচ্ছে এই ঝুলনযাত্রা।ঝুলনের আরেক অর্থ দোলনা। ওইদিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্য দোলনা সাজানো হয়। আর সেই দোলনায় বসিয়ে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধাকে দোল দেওয়া হয়। এছাড়া ভক্তিমূলক গান, নাচের আয়োজন করা হয় এই দিন।
ঝুলন পূর্ণিমা হল শ্রীকৃষ্ণের অনুগামীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। অমাবস্যায় পরের একাদশী থেকে আরম্ভ করে শ্রাবনী পূর্ণিমা পর্যন্ত চলে উৎসবের সমারোহ। এটি দোল পূর্ণিমার পরবর্তী বৈষ্ণবদের বড়ো উৎসব। দোলনা সাজানো, ভক্তিমূলক গান, নাচ, সব মিলিয়ে রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলার এটি একটি বিশেষ উৎসব। ভারতের এই উৎসবে দেশ-বিদেশ থেকে বহু দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে। নবদ্বীপে ঝুলন উৎসব একটি বিশেষ আকর্ষণ। বৃন্দাবন, মথুরা আর ইসকন মন্দিরে মহা সমারোহে পালিত হয় এই ঝুলন।
বৃন্দাবন, মথুরা আর নবদ্বীপের ইসকন মন্দিরে এই উৎসব মহাসমারোহে পালন করা। এই পবিত্র তিথিতে বাড়িতে নানারকমের শুভকাজ করা যায়। ঝুলনযাত্রার দিন শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধার প্রেমের পূর্ণ প্রকাশ ঘটেছিল বলে অনুমান করা হয়। তাই এই দিন বাড়িতে বিশেষ কিছু কাজের মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণের পুজো করতে পারেন। তার ফলে আপনার মনের ইচ্ছেও পূর্ণ হবে।
ঝুলনযাত্রা বা লীলা বর্ষার লীলা। ঝুলন পূর্ণিমাকে শ্রাবণী পূর্ণিমাও বলা হয়। বৃন্দাবনে রাধা-কৃষ্ণর শৈশব-স্মৃতি, বিশেষতঃ সখা-সখীদের সঙ্গে দোলনায় দোলার প্রেমলীলাকে কেন্দ্র করে দ্বাপরযুগে এই ঝুলন উৎসবের সূচনা হয়েছিল। এর পর থেকে এখনও গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের এটা প্রিয় অনুষ্ঠান।
২০২৩ সালের ঝুলন যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে বাংলার ২৬ অগাষ্ট ২০২৩ শনিবার দিন শ্রীশ্রীকৃষ্ণের ঝুলনযাত্রা আরম্ভ। ৩০ অগাষ্ট ২০২৩ বুধবার শ্রীশ্রীকৃষ্ণের ইন্দ্রাদিদেববিহিত ঝুলনযাত্রা