সংক্ষিপ্ত
অনেক তীর্থস্থানে এই গাছকেই দেবতা রূপে পুজো করা হয়। এই গাছকে দেবাদিদেব মহাদেবের অরেক রূপ হিসেবে গন্য করা হয়। যে কোনও পুজোয় উপাসকদের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল বেলপাতা।
বিশেষ এই উপাদান ছাড়া বেশিরভাগ পুজোই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ভিন্ন দেবতার পুজোয় প্রয়োজন হয় ভিন্ন উপকরণ। তবে লক্ষ্য করলে দেখে থাকবেন যে কোনও পুজোর নৈবেদ্যতে বেল পাতা থাকবেই। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে বেলগাছ অত্যন্ত পবিত্র। অনেক তীর্থস্থানে এই গাছকেই দেবতা রূপে পুজো করা হয়। এই গাছকে দেবাদিদেব মহাদেবের অরেক রূপ হিসেবে গন্য করা হয়। যে কোনও পুজোয় উপাসকদের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল বেলপাতা।
পুরাণ অনুযায়ী, সাগর মন্থনের সময় যখন বিষ উঠে আসে তখন মহাদেব বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড রক্ষার জন্য সেই বিষ পান করে গলায় ধারণ করে হয়ে ওঠেন নীলকণ্ঠ। বিষের প্রভাবে শিবের শরীর গরম হয়ে উঠতে থাকে, তখন অন্যান্য দেবতারা তাঁর মাথায় গঙ্গাজল ঢালতে শুরু করেন। এই সময়েই তাঁকে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে বেলপাতাও দেওয়া হয়। এর পর থেকেই শিবের আরাধনা সহ অন্যান্য যে কোনও পুজোয় বেলপাতা আবশ্যিক হয়ে যায়।
এই পাতা তিনটি একত্রে ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর বলে মনে করা হয়। আর তিনটি বেলপাতা একত্রে থাকলে তবেই তা পুজোর উপকরণের নিঁখুত বেলপাতা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বেল পাতার তিনটিকে একত্রে পুজো, স্তোত্র এবং জ্ঞান হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনটি বেলপাতা একত্রে ঈশ্বরের তিনটি চোখ হিসেবেও মানা হয়। বেল ফলের আরেক নাম শ্রীফল, এটি মহাদেবের পুজোর এখটি অন্যতম উপাদান। সেই কারনেই শিবের আরাধণার অন্যতম উপকরণ হল বেলপাতা।