সংক্ষিপ্ত

জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ির দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। তাই রথের দড়িতে টান পড়লেও, তিনটি রথ মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে পৌঁছাতে কত সময় লাগে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এবছরের পুরীর রথযাত্রায় এক বিশেষ যোগ তৈরি হয়েছে। ৫৩ বছর পর বিরল কাকতালীয় ঘটনা ঘটতে চলেছে রথযাত্রায় দিন। এবার সকালের পরিবর্তে সন্ধ্যায় শুরু হবে রথযাত্রা উৎসব। এর কারণে দু'দিন ধরে পালিত হবে রথযাত্রা উৎসব। রথযাত্রার পর রথ চালানো আর হয় না। সেক্ষেত্রে পরের দিন, অর্থাৎ ৮ জুলাই ভোর থেকে আবার যাত্রা শুরু হবে।

অন্ধকার নেমে এলে, রথ কিছুটা এগিয়ে রাস্তাতেই অপেক্ষা করবে সারা রাত এবং পরের দিন, ফের যাত্রা শুরু হবে। এর আগে ১৯০৯ এবং ১৯৭১ সালে এই তিথি একই দিনে হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ির দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। তাই রথের দড়িতে টান পড়লেও, তিনটি রথ মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে পৌঁছাতে কত সময় লাগে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

ধর্মীয় রীতি অনুসারে, স্নানযাত্রার পর জ্বর আসে প্রভু জগন্নাথ ও তাঁর ভাই- বোনের। সেই সময় আলাদা ঘরে রাখা হয় তাঁদের। অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠার পর, বিগ্রহে রূপটানের অনুষ্ঠান নেত্র উৎসব ও নব যৌবন উৎসব পালিত হয়। মন্দিরেই এই উৎসব পালন করা হয়। তবে এবার তিথির ফেরে নেত্র উৎসব, নব যৌবন উৎসব, রথযাত্রা একই দিনে পড়েছে। সব রীতি পালন করার পর রথযাত্রা শুরু হবে। রথের দড়িতে টান পড়তে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যাবে বলে মনে করছেন জগন্নাথদেবের সেবায়েতরা।

দেশের মধ্যে ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গে মূলত এই উৎসব বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। বিশেষ তিথিতে ধুমধাম করে রথযাত্রার উৎসব পালিত হয় পুরী, মাহেশ, ইস্কনের মন্দিরে। শুরু তাই নয়, যে সমস্ত মন্দিরে ও বনেদি বাড়িতে জগন্নাথ দেব আছেন, সেখানেও ঘটা করে পালন করা হয় এই উৎসব।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।