সংক্ষিপ্ত
এই সময় ভোলেশঙ্করকে খুশি করতে ভক্তরা শিব পুজোয় মত্ত থাকেন। শিব ভক্তরা বিভিন্ন শিবালয়ে ভিড় জমান। মহাদেবকে পুজো করার আগে জেনে নিন, কেন মহাদেব বেলপাত্র এত পছন্দ করেন।
ভগবান শিবকে খুশি করার জন্য, ছাপ্পান্নটি নৈবেদ্য নয়, কেবল একটি পাত্রে জল এবং কিছু বেল পাতাই যথেষ্ট। জল ও বেলপত্র নিবেদন করলেই ভক্তরা ভোলেনাথের আশীর্বাদ পেতে পারেন। ভগবান শিবের উপাসনার জন্য শ্রেষ্ঠ মাস হল শ্রাবণ। কথিত আছে যে পুরো শ্রাবণ মাসে, ভগবান শিব এবং মা পার্বতী পৃথিবীতে আসেন এবং তাদের ভক্তদের উপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। এই সময় ভোলেশঙ্করকে খুশি করতে ভক্তরা শিব পুজোয় মত্ত থাকেন। শিব ভক্তরা বিভিন্ন শিবালয়ে ভিড় জমান। মহাদেবকে পুজো করার আগে জেনে নিন, কেন মহাদেব বেলপাত্র এত পছন্দ করেন।
শিবলিঙ্গে বেলপত্র নিবেদন করলে কি হয়?
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, মা পার্বতী ভগবান শিবকে স্বামীরূপে পাওয়ার জন্য কঠোর তপস্যা করেছিলেন। তপস্যার সময় মা গৌরী প্রতিদিন শিবলিঙ্গে জল ও বেলপাত্র অর্পণ করতেন। মা পার্বতী এই দুটি জিনিস নিবেদন করে ভোলেনাথের পূজা করেছিলেন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, মা পার্বতীই সর্বপ্রথম ভগবান শিবের চরণে বেলপত্র অর্পণ করেছিলেন। কথিত আছে যে যে কোন ভক্ত শুধু জল এবং বেলপত্র দিয়েও ভোলেশঙ্করের পূজা করেন, তার বিবাহিত জীবন ভগবান শিব এবং মা গৌরীর মতো। এর মাধ্যমে ব্যক্তি মহাদেব ও মা পার্বতীর বিশেষ আশীর্বাদ লাভ করেন।
শ্রাবণ মাসের গুরুত্ব
শ্রাবণ মাস ভগবান শিবের খুব প্রিয়। শ্রাবণ মাস শিবের ভক্তির জন্য পরিচিত। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, মা পার্বতীও ভগবান শিবকে স্বামীরূপে পাওয়ার জন্য শ্রাবণ মাসে কঠোর তপস্যা করেছিলেন। তাঁর তপস্যায় খুশি হয়ে ভগবান শিব মা পার্বতীকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন। ভালো বর পেতে হলে এই মাসে শিবের পূজা করতে হবে। শ্রাবণে শিব-গৌরীর পূজা করলে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। এছাড়া দাম্পত্য জীবনও থাকে সুখী ও সমৃদ্ধশালী।