সংক্ষিপ্ত
- যত দিন যাচ্ছে তত বাচ্চাদের মধ্যে খেলাধুলার প্রবণতা কমে যাচ্ছে
- বাড়িতে বসে মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহারের মধ্যে দিয়েই বিনোদন খুঁজে নিচ্ছে
- তাদের প্রতিমা গড়ে তোলা হচ্ছে সাবেকি ঢঙে
- থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এক তিন বছরের শিশুর হাত দিয়ে চতুর্থীর দিন তাদের পুজোর উদ্বোধন হবে
যুগ যত এগিয়ে চলেছে ততই আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু সংস্কৃতি। ১০ বছর আগে আমরা সকলে যেভাবে জীবন কাটাতাম, আর এখন যেভাবে জীবন কাটাই তার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পার্থক্য। আমাদের জীবনধারার সঙ্গে যুক্ত অনেক খেলা, গান, অভ্যাস আজ আর আমাদের চারপাশে এখন আর আমরা দেখতে পাই না। তাদের শুধুমাত্র স্মৃতিটুকুই আমাদের মনে রয়ে গেছে। এই জায়গা থেকেই এই বছর নিজেদের থিম নির্বাচন করেছেন কেন্দুয়া শান্তি সংঘ সার্বজনীন দুর্গোৎসব পুজো কমিটি।
কেন্দুয়া শান্তি সংঘের পুজো প্রেসিডেন্ট দেবব্রত দে জানিয়েছেন যত দিন যাচ্ছে তত বাচ্চাদের মধ্যে খেলাধুলার প্রবণতা কমে যাচ্ছে। তারা বাড়ির বাইরে গিয়ে খেলার বদলে বাড়িতে বসে মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহারের মধ্যে দিয়েই বিনোদন খুঁজে নিচ্ছে। ফলস্বরূপ হাডুডু, ডাংগুলি, কুমীর-ডাঙ্গা-র মতো খেলাগুলি ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই এবারে এখানকার মণ্ডপটি তারা সাজিয়ে তুলছেন এইরকম কিছু খেলার সামগ্রী এবং নাম দিয়ে। পুরও মণ্ডপটির ভাবনা এবং রূপায়ণ হচ্ছে শিল্পী রনজিৎ বিশ্বাসের পরামর্শ মতো। মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল প্রায় ২ মাস আগে থেকে। যেহেতু পুরনো স্মৃতি ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে মণ্ডপ জুড়ে তাই এবার তাদের প্রতিমাও গড়ে তোলা হচ্ছে সাবেকি ঢঙে বলে জানিয়েছেন দেবব্রত দে। কোনও বিশেষ অতিথি নয়, তার বদলে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এক তিন বছরের শিশুর হাত দিয়ে চতুর্থীর দিন তাদের পুজোর উদ্বোধন হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আমাদের কিছু স্মৃতি যা প্রায় পাকাপাকি ভাবেই হারিয়ে গেছে আমাদের জীবন থেকে, সেই স্মৃতিগুলিরই আমেজ পেতে গেলে আসতেই হবে কেন্দুয়া শান্তি সংঘ সার্বজনীন দুর্গোৎসব পুজো কমিটির এই পুজোয়।