সংক্ষিপ্ত

বিসিসিআই-এর আপত্তিতেই পাকিস্তান থেকে সরে গিয়েছে এশিয়া কাপের অধিকাংশ ম্যাচ। তবে তারপরেও পাকিস্তানে এশিয়া কাপের ম্যাচ দেখতে যাওয়ার জন্য বিসিসিআই কর্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে পিসিবি।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এশিয়া কাপের সময় পাকিস্তানে প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআই। তবে সচিব জয় শাহ বিসিসিআই-এর প্রতিনিধি হিসেবে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন না। বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সভাপতি রজার বিনি ও সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা পাকিস্তানে যাবেন। ৩০ আগস্ট শুরু হচ্ছে এবারের এশিয়া কাপ। পরবর্তী ম্যাচগুলি শ্রীলঙ্কায় হলেও, উদ্বোধনী ম্যাচ-সহ মোট ৪টি ম্যাচ হবে পাকিস্তানে। সেই কারণেই বিসিসিআই কর্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে পিসিবি। বিসিসিআই-এর প্রতিনিধি হিসেবে এশিয়া কাপের সময় পাকিস্তানে যাচ্ছেন বিনি ও শুক্লা। তবে তাঁরা উদ্বোধনী ম্যাচের সময় পাকিস্তানে যাচ্ছেন না। ৪ সেপ্টেম্বর ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে লাহোরে পৌঁছবেন বিসিসিআই সভাপতি ও সহ-সভাপতি। তাঁরা ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লাহোরে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

২ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। সেই ম্যাচ দেখতে যাবেন বিসিসিআই সচিব, সভাপতি ও সহ-সভাপতি। তাঁরা দেশে ফিরবেন ৩ সেপ্টেম্বর। এরপর পাকিস্তানে যাবেন বিনি ও শুক্লা। তাঁদের স্ত্রীদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছে পিসিবি। ৪ সেপ্টেম্বর লাহোরের গভর্নর হাউসে সরকারি নৈশভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই নৈশভোজে বিনি ও শুক্লা সস্ত্রীক আমন্ত্রিত। 

পাকিস্তানে এবারের এশিয়া কাপের ৪টি ম্যাচ হচ্ছে। শ্রীলঙ্কায় হবে ৯টি ম্যাচ। ৩০ আগস্ট উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান। এই ম্যাচ হবে মুলতানে। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর লাহোরে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে বাংলাদেশ। ৫ সেপ্টেম্বর লাহোরে আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। ৬ সেপ্টেম্বর লাহোরে সুপার ফোর পর্যায়ের একটি ম্যাচ হবে।

এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ হিসেবে সব ম্যাচই আয়োজন করার কথা ছিল পিসিবি-র। কিন্তু বিসিসিআই সাফ জানিয়ে দেয়, ভারতীয় দল পাকিস্তানে খেলতে যাবে না। ফলে পাকিস্তান থেকে এশিয়া কাপ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। শেষপর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ আয়োজনের প্রস্তাব দেয় পিসিবি। সেই মডেলেই হচ্ছে এশিয়া কাপ। পাকিস্তানে হবে গ্রুপের ৩টি এবং সুপার ফোর পর্যায়ের ১টি ম্যাচ। শ্রীলঙ্কায় ম্যাচগুলি হবে কলম্বো ও ক্যান্ডিতে। ভারতীয় দল যেহেতু পাকিস্তানে খেলতে যাবে না, সেই কারণে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও, পাকিস্তানকে শীর্ষ স্থানাধিকারী হিসেবেই ধরা হবে। পাকিস্তান যদি সুপার ফোরের যোগ্যতা অর্জন করতে না পারে, সেক্ষেত্রে গ্রুপের শীর্ষ স্থানাধিকারী দল হিসেবে লাহোরে সুপার ফোর পর্যায়ের ম্যাচ খেলতে যাবে নেপাল।

আরও পড়ুন-

ছেলে ওরিয়নের পর এবার মেয়ে, দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিলেন যুবরাজ সিংয়ের স্ত্রী হ্যাজেল কিচ

ধোনির সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ছিল? এত বছর পর মুখ খুললেন অভিনেত্রী রাই লক্ষ্মী

আইপিএল-এর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সাফল্য, খ্যাতি উপভোগ করছেন রিঙ্কু সিং