সংক্ষিপ্ত

'মাঠে বাধা দেওয়ার' জন্য আউট দেওয়া হয় তখন, যখন ব্যাটসম্যান বল অ্যাকশন বা গতিতে থাকা অবস্থায় হাত দিয়ে বল টেম্পার করার চেষ্টা করে।

'বল হ্যান্ডলিং' বা 'মাঠে বাধা দেওয়ার' ঘটনা ঘটিয়ে অদ্ভুতভাবে আউট হলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। ঢাকার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে খেলা দ্বিতীয় টেস্টে এই ঘটনা ঘটে। 'মাঠে বাধা দেওয়ার' জন্য আউট দেওয়া হয় তখন, যখন ব্যাটসম্যান বল অ্যাকশন বা গতিতে থাকা অবস্থায় হাত দিয়ে বল টেম্পার করার চেষ্টা করে।

বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৪৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে। প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর পঞ্চম উইকেটে শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম এবং বাংলাদেশের ইনিংসের হাল ধরেন।

৪১তম ওভারের ঘটনা

কাইল জেমিসন যখন ৪১তম ওভারে বল করছিলেন, রহিমকে ক্রিজের ডিপে খেলতে দেখা যায়। এর আগেও ব্যাকফুটে ডিফেন্স করার সময় বল পাঞ্চ করতে গিয়ে তিনি স্টাম্প থেকে বল সরানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে বল তার ব্যাটে লেগে উইকেটের পেছনে পড়ে যায় এবং রহিম আঘাত পাননি।

এর পরে, চতুর্থ বলে, তিনি আবারও পিছনের পায়ে ডিফেন্স করেন এবং বলটি চতুর্থ স্টাম্প থেকে অনেক দূরে ছিল এবং উইকেটে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু বল উইকেটে লেগে যাওয়ার ভয়ে উইকেটের সামনে থেকে বল মারেন রহিম। বলকে উইকেটে যাওয়া থেকে আটকানোর অধিকার ব্যাটসম্যানের আছে, তবে তিনি এর জন্য হাত ছাড়া শরীরের যেকোনো অঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন। ফিল্ডিং দল বা আম্পায়ারকে জিজ্ঞাসা করলেই ব্যাটসম্যান তার হাত দিয়ে বল স্পর্শ করার অধিকার পান।

একটি শর্ট লেংথ বল ক্রিজে দাঁড়িয়ে খেলেন মুশফিকুর। সেটি পিচে ড্রপ করে লাফিয়ে ওঠে। মুশফিকুর আচমকা সেই বল হাত দিয়ে ঠেলে সরিয়ে দেন। সেই বলটি উইকেটে লাগার সম্ভাবনা প্রায় ছিলই না। কিন্তু যে হেতু বলটি ‘ডেড’ হওয়ার আগেই মুশফিকুর ইচ্ছাকৃত ভাবে হাত দিয়ে সরিয়ে দেন, তাই নিউ জ়িল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউটের আবেদন করেন।

জেমসন বোলিং করছিলেন

রহিম হাত দিয়ে বল ঠেলে দিতেই বোলার জেমিসন আউটের আবেদন জানান। মাঠের আম্পায়াররা নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা করেন এবং তারপর তা তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠান। তৃতীয় আম্পায়ার রিপ্লে দেখে রহিমকে 'বল হ্যান্ডলিং'/'মাঠে বাধা দেওয়ার' জন্য আউট ঘোষণা করেন। এভাবেই বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে 'অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড'-এর শিকার হলেন মুশফিকুর রহিম। এই পদ্ধতিতে আউট হওয়া নির্বাচিত ব্যাটসম্যানদের তালিকায় যোগ দেন তিনি। এতে মহিন্দর অমরনাথ, মহসিন খান, মাইকেল ভনের মতো খেলোয়াড়রা রয়েছেন।

আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।