সংক্ষিপ্ত
গোটা পৃথিবীতে হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে এই দেশ।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে চূড়ান্ত লজ্জাজনক মুহূর্ত তৈরি হল। কার্যত, বিপিএল-এর মান নিয়েই উঠে গেল গুরুতর প্রশ্ন।
গোটা পৃথিবীতে হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে এই দেশ। এমনকি, ক্রিকেটের দিক দিয়ে দেখতে গেলেও অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতি এই দেশের। নিজেদের বকেয়া না পেয়ে এবার খেলতেই নামলেন না দুর্বার রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা। এরপরেও নাকি তারা আবার এই লিগকে আইপিএল-এর সঙ্গে তুলনা করে।
এই অবস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেটের? এবার আস যাক মূল কথায়। প্রসঙ্গত, দুর্বার রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েছেন মার্ক ডেয়াল, রায়ান বার্ল, মহম্মদ হ্যারিস, মিগুয়েল কামিন্স, আফতাব আলম এবং লাহিরু সমরাকুন। জানা গেছে, প্রাপ্য অর্থের মাত্র এক-চতুর্থাংশ হাতে পেয়েছেন তারা। আর সেইজন্যই তারা বিদ্রোহের পথে হেঁটেছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নিয়মানুযায়ী, প্রতিযোগিতা চলাকালীনই ক্রিকেটারদের ৭৫% বেতন মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে তো তা হয়নি। এদিন দুর্বার রাজশাহীকে আঞ্চলিক ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়তে হয়েছে। এমনকি, এই আঞ্চলিক ক্রিকেটারদের বেতন নিয়েও নাকি সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তারাও বিদ্রোহ করে অনুশীলনে আসেননি কয়েকদিন আগে। তারপর নাকি কিছুটা মেটানো হয়েছিল।
তাহলে পেশাদারিত্বটা কোথায় গেল? জানা গেছে, এদিন ম্যাচে টসের আগে দলের কোচ ইজাজ আহমেদকে। তখন ওয়ার্ম আপ চলছিল। অনেকে তো ভেবেছিলেন, কোচকেই না নেমে পড়তে হয় ব্যাট-প্যাড নিয়ে। সত্যিই মীরপুরের শের ই বাংলা স্টেডিয়াম যেন এক অদ্ভুত পরিস্থিতির সাক্ষী থাকল।
রংপুর রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে দলের অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ জানান, কোনও বিদেশি খেলবেন না। দলের সব দেশের ক্রিকেটার। এদিকে আবার BCB-র নিয়ম অনুসারে, দলে কমপক্ষে ২ জন বিদেশিকে খেলাতেই হবে। কিন্তু এদিন রাজশাহীকে বিশেষ ছাড়পত্র দেয় টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটি। এমনকি, এদিন মাঠমুখোই হননি দলের বিদ্রোহী বিদেশি ক্রিকেটাররা।
শুধু তাই নয়, হোটেলও বদলাতে হয়েছে দলকে। কারণ, চট্টগ্রামে হোটেলের ভাড়া মেটাতে বিপাকে পড়েন দলের কর্ণধার। এরপর তাদের ঢাকার এক হোটেলে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে আবার সংস্কারের কাজ চলছিল। ফলে, দুবার হোটেল বদলাতে হয় দলকে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।