সংক্ষিপ্ত
ওডিআই বিশ্বকাপ খেলতে এখন ভারতে আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা। কিন্তু তাঁদের মন পড়ে আছে দেশে। তীব্র ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে আফগানিস্তান। পরিবার-পরিজনদের নিয়ে চিন্তায় রশিদ খানরা।
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য চলতি ওডিআই বিশ্বকাপে ম্যাচ ফি হিসেবে পাওয়া অর্থের পুরোটাই দিচ্ছেন রশিদ খান। রবিবার এই ঘোষণা করলেন আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার। রশিদ আরও জানিয়েছেন, তিনি আরও অর্থ জোগাড়ের চেষ্টা শুরু করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দেশের বিধ্বস্ত অবস্থা নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন রশিদ। দেশের হয়ে ওডিআই বিশ্বকাপ খেলতে ব্যস্ত থাকলেও, দেশে থাকা আত্মীয়-পরিজনদের কথাই ভাবছেন রশিদ ও তাঁর সতীর্থরা। তাঁরা সবাই দেশের বর্তমান অবস্থার কথা ভেবে চিন্তিত। বিশ্বকাপে সব ম্যাচ না খেলা পর্যন্ত তাঁদের পক্ষে দেশে ফেরা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এখান থেকেই দেশের মানুষের জন্য কিছু করার উদ্যোগ নিচ্ছেন রশিদরা।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রশিদ লিখেছেন, ‘আমি ভূমিকম্পের ফলে ক্ষয়ক্ষতির কথা জানতে পেরে প্রচণ্ড দুঃখ পেয়েছি। আফগানিস্তানের পশ্চিম অংশের প্রদেশগুলিতে ভূমিকম্পের ফলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হেরাত, ফারাহ, বাদগিস প্রদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনকে সাহায্য করার জন্য আমি ওডিআই বিশ্বকাপে ম্যাচ ফি হিসেবে পাওয়া যাবতীয় অর্থ দান করছি। শীঘ্রই আমরা তহবিল সংগ্রহের কাজ শুরু করে দেব। যাঁরা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনকে সাহায্য করতে চাইছেন, তাঁরা সাহায্য করতে পারেন।’
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ৬.৩। হেরাতের উত্তর-পশ্চিম দিকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে একটি জায়গা ভূমিকম্পের উৎসস্থল। আফগানিস্তানের অন্যতম জনবহুল স্থান হেরাত। ফলে ভূমিকম্পে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এত মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি অসংখ্য বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। ভূমিকম্প এতটাই শক্তিশালী ছিল যে ৮ বার আফটারশক হয়েছে। প্রতিটি আফটারশকই ছিল শক্তিশালী। আফটারশকের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে।
তালিবান প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত কয়েক বছরে এটাই আফগানিস্তানে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এই ভূমিকম্পে ২,০০০-এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে আরও বেশি। ভূমিকম্পের ফলে আহত হয়েছেন ৯,০০০-এর বেশি মানুষ। ১,৩০০টিরও বেশি বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক দেহ বের করা হচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। হেরাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হলেও, বাদগিস, ফারাহতেও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভূমিকম্পে অন্তত ৬০০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ি ভেঙে পড়ায় অনেকেই আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। ফলে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
আরও পড়ুন-
David Warner: সচিনের রেকর্ড ভেঙে বিশ্বকাপে দ্রুততম ১,০০০ রান ওয়ার্নারের
Virat Kohli: ম্যাচ চলাকালীন মাঠে ঢুকে পড়ল 'জার্ভো ৬৯', বের করে দিলেন বিরাট কোহলি