সংক্ষিপ্ত
এবারের ওডিআই বিশ্বকাপ যত এগোচ্ছে ততই সব দল খোলস ছেড়ে বেরোচ্ছে। ইতিমধ্যেই একাধিক অভাবনীয় ফল দেখা গিয়েছে। পরের ম্যাচগুলিতেও চমকপ্রদ ফল দেখা যেতে পারে।
ওডিআই বিশ্বকাপে পরপর ২ ম্যাচ জিতে দুর্দান্ত জায়গায় ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। মঙ্গলবার দুর্বল নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে টেম্বা বাভুমার দল সহজ জয় পাবে বলেই সবাই ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৩৮ রানে জয় ছিনিয়ে নিল ডাচরা। ২০০৭ সালের পর এই প্রথম ওডিআই বিশ্বকাপে জয় পেল নেদারল্যান্ডস। এটাই এবারের ওডিআই বিশ্বকাপে সবচেয়ে ব়ড় অঘটন। এর আগে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চমক দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের জয় অভাবনীয়। ডাচরা অসামান্য পারফরম্যান্স দেখাল। এই ম্যাচ জিতলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে পৌঁছে যেত প্রোটিয়ারা। কিন্তু তারা যে 'চোকার্স', সেটা ফের প্রমাণ করে দিল।
গত ২ দশকে এই নিয়ে তৃতীয়বার ওডিআই বিশ্বকাপে কোনও ম্যাচে জয় পেল নেদারল্যান্ডস। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ওডিআই বিশ্বকাপে নামিবিয়াকে হারিয়ে প্রথম জয় পায় ডাচরা। এরপর ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় ডাচরা। মঙ্গলবার ধরমশালায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয় পেল নেদারল্যান্ডস। এই প্রথম জিম্বাবোয়ে ও আয়ারল্যান্ড ছাড়া আইসিসি-র কোনও পূর্ণ সদস্য দেশকে হারাল ডাচরা।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বাভুমা। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৩ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৫ রান করে নেদারল্যান্ডস। সর্বাধিক ৭৮ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। তিনি ১০টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার-বাউন্ডারি মারেন। নেদারল্যান্ডসের আর কোনও ব্যাটার বড় স্কোর করতে পারেননি। ওপেনার বিক্রমজিৎ সিং ২, অপর ওপেনার ম্যাক্স ওডোড ১৮, ৩ নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা কলিন অ্যাকারম্যান ১৩, ব্যাস ডে লিডে ২, সিব্র্যান্ড এনগেলব্রেখট ১৯, তেজা নিদামানুরু ২০, লগ্যান ভ্যান বিক ১০, রোয়েলফ ভ্যান ডার মারউই ২৯, আরিয়ান দত্ত অপরাজিত ২৩ রান করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৫৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিডি। ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মার্কো জ্যানসেন। ৫৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা। ৫৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন জেরাল্ড কোটজি। ৩৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন কেশব মহারাজ।
রান তাড়া করতে নেমে ৪২.৫ ওভারে ২০৭ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বাধিক ৪৩ রান করেন ডেভিড মিলার। ৪০ রান করেন কেশব।হেইনরিখ ক্লাসেন করেন ২৮ রান। ২২ রান করেন কোটজি। কুইন্টন ডি কক করেন ২০ রান। বাভুমা করেন ১৬ রান।
নেদারল্যান্ডসের হয়ে ৬০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ভ্যান বিক। ৪০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন পল ভ্যান মিকেরেন। ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ভ্যান ডার মারউই। ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ডে লিডে। ১৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন অ্যাকারম্যান।
আরও পড়ুন-
Virat Kohli: বিরাট কোহলির জনপ্রিয়তার জন্যই অলিম্পিক্সে জায়গা পেল ক্রিকেট?