সংক্ষিপ্ত

টেস্ট ক্রিকেটে একদমই ফর্মে নেই টেস্ট রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি।

তাছাড়া ম্যাচ রিডিং এবং নির্ভরযোগ্যতাও একটা বড় বিষয়।

তাই আসন্ন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে দেখা যেতে পারে রোহিত এবং বিরাটকে। এমনিতেই সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি রয়েছে। তার আগে রোহিতদের সাদা বলের ক্রিকেটে একবার পরখ করে নিতে চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট। শোনা যাচ্ছে, দলে আসতে পারেন মহম্মদ শামি।

তবে চোটের কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন যশপ্রীত বুমরাহ। কিন্তু দল গঠনের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মেলবন্ধন দেখা যেতে পারে বলে মোট বিশেষজ্ঞদের। ওপেনার হিসেবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসতে পারেন রোহিত শর্মা এবং যশস্বী জয়সওয়াল। অন্যদিকে, তৃতীয় ওপেনার হিসেবে দলে থাকতে পারেন শুভমন গিল।

তবে যা খবর, তাতে একদিনের ক্রিকেটে রোহিত নেতৃত্ব দেবেন ভারতকে। গত ২০২৩ সালে, একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বেই ফাইনালে খেলতে নেমেছিল গোটা দল। তাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তাঁকে সুযোগ দেওয়া হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সেইজন্যই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও খেলানো হবে রোহিতকে।

এদিকে অজিদের বিরুদ্ধে যশস্বী রান পেয়েছেন। ফলে, একদিনের ক্রিকেটেও রোহিতের সঙ্গে ওপেন করতে পারেন তিনি। তবে শুভমন একদিনের দলে প্রথম একাদশে আদৌ সুযোগ পাবেন কি না, তা বলা বেশ কঠিন। কিন্তু সূত্রের খবর, দলে থাকবেন তিনি। এছাড়া তিনি তৃতীয় ওপেনার হিসেবেও জায়গা পেতে পারেন।

এমনিতে, মিডল অর্ডার একদিনের ক্রিকেটে তিন নম্বরে খেলেন কোহলি। স্বভাবতই, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও সেই দায়িত্ব সামলাতে হতে পারে তাঁকে। তাছাড়া লাল বলের ক্রিকেটে সমস্যা হলেও সাদা বলের ক্রিকেটে নিজের ফর্ম ফিরে পেতে পারেন বিরাট কোহলি। আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেললে নির্বাচকেরা চাইবেন, তিনি কোনও বড় প্রতিযোগিতার আগেই রানে ফিরে আসুন।

সম্ভবত সেই কারণেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলানো হতে পারে তাঁকে। অপরদিকে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ভারতের মিডল অর্ডার সামলানোর জন্য থাকবেন শ্রেয়স আইয়ারও। কারণ, ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত রান করে চলেছেন তিনি। ফলে, চার নম্বরে নামতে পারেন শ্রেয়স। রোহিত এবং বিরাট রান না পেলে, বাড়তি দায়িত্ব সামলাতে হতে পারে তাঁকে।

পাশাপাশি থাকবেন উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থ এবং সঞ্জু স্যামসনও। মিডল অর্ডারে অবশ্য তাদের মধ্যে একজনই সুযোগ পাবেন। সেইদিক থেকে দেখতে গেলে পাল্লা ভারী পন্থের। তবে সঞ্জুও বেশ ভালো ফর্মেই রয়েছেন। যদিও বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলেননি তিনি। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে সঞ্জু বেশ ভালো ফর্মেই রয়েছেন। এছাড়া দলে থাকবেন কেএল রাহুলও। তাঁকে বাদ দিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হয়ত নামবে না ভারত। অন্যদিকে, সাদা বলের ক্রিকেটে দলে থাকবেন হার্দিক। 

তবে তাঁকে দলে রাখলেও অলরাউন্ডার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় নজরকাড়া নীতীশ কুমার রেড্ডিকেও সুযোগ দেওয়া হতে পারে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। তবে ঘরের মাঠে শুধু পেসার কিংবা অলরাউন্ডাররা নন, বরং সুযোগ পাবেন স্পিনার অলরাউন্ডাররাও।

সেক্ষেত্রে আবার অক্ষর প্যাটেলকেও সুযোগ দেওয়া হতে পারে। এমনকি, খেলতে পারেন রবীন্দ্র জাদেজাও। কারণ, ভারতের লোয়ার অর্ডারকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজন রয়েছে তাদের। অবশ্য নির্বাচকদের প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকবেন কুলদীপ যাদব। কিন্তু তাঁর আবার চোট রয়েছে। যদি তিনি ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করতে পারেন, তাহলে অবশ্যই দলে থাকবেন বলে জানা গেছে।

নাহলে সুযোগ পেতে পারেন রবি বিষ্ণোই। কিন্তু স্পিনার হিসেবে দলে সুযোগ পাওয়ার দাবিদার বরুণ চক্রবর্তীও। কারণ, সাদা বলের ক্রিকেটে তিনি ফর্ম ফিরে পেয়েছেন এবং বেশ ভালো পারফর্ম করেছেন। তাই ভারত দুজন স্পিনার নিয়ে দল গড়লে বরুণ অবশ্যই থাকবেন সেখানে। তবে অলরাউন্ডার অক্ষর এবং জাদেজা থাকার ফলে, একজন স্পিনার নিয়েও টিম বানাতে পারে ভারত।

এবার আসা যাক পেসারদের কোথায়। প্রথম একাদশে হয়ত দুজন পেসার নিয়ে খেলতে নামবে ভারত। তাই দল গড়ার সময় তিনজন পেসারকে নিতে পারেন নির্বাচকরা। পাশাপাশি ভারতীয় জার্সিতে প্রত্যাবর্তন হতে পারে মহম্মদ শামির। কারণ, তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার হয়ে নিয়মিত ভালো খেলছেন। তবে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে মহম্মদ সিরাজকে।

ওদিকে শামির সঙ্গে দ্বিতীয় পেসার হিসেবে থাকতে পারেন মায়াঙ্ক যাদব এবং তৃতীয় পেসার হিসেবে থাকতে পারেন হর্ষিত রানা।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।