সংক্ষিপ্ত

ঘরের মাঠে রঞ্জি ট্রফি ফাইনাল খেলতে নেমে কি স্নায়ুর চাপে ভুগছিলেন বাংলার ক্রিকেটাররা? চলতি মরসুমে যে লড়াইয়ের সুবাদে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে দল, ফাইনালে সেই লড়াই উধাও হয়ে গেল।

এবার একটু আগেই বসন্ত এসে গিয়েছে। মাঘ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই গড়ের মাঠে পলাশ ফুটতে শুরু করে দেয়। ফাল্গুনে সেই পলাশ রক্তবর্ণ ধারণ করেছে। ময়দানে এখন ভরা বসন্ত। বাংলার ক্রিকেটেও বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে বাংলা। ৩৩ বছর পর ফের রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি। ঘরের মাঠে ফাইনাল ম্যাচ। বৃহস্পতিবার সকালে ইডেন গার্ডেন্সে পৌঁছে যান ১৯৮৯-৯০ মরসুমে রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন বাংলা দলের সদস্যরা। ঘণ্টা বাজিয়ে ম্যাচ শুরু করেন রঞ্জি জয়ী অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্যালারির একাংশে দর্শকদের উপস্থিতিও দেখা যায়। ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেনের পরিবেশ বরাবরের মতোই অসাধারণ ছিল। সবারই আশা ছিল এই পরিবেশ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাবেন বাংলার ক্রিকেটাররা। কিন্তু বাস্তবে হল ঠিক উল্টো। শুরুতেই ম্যাচে জাঁকিয়ে বসেছে সৌরাষ্ট্র। বাংলার ক্রিকেটাররা নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী খেলতে পারলেন না। 

এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তের কথা জানান সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাট। তখনই অনেকে আশঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। কারণ, ইডেনের পিচে ঘাস আছে। বরাবরই দিনের শুরুতে ইডেনের উইকেট থেকে সাহায্য পান পেসাররা। সৌরাষ্ট্র দলে উনাদকাট, চেতন সাকারিয়ার মতো পেসার আছেন। বাংলা দল ব্যাটিং করতে নামার পর দেখা গেল সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। শুরুতেই পরপর উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে গেল বাংলা।

দিনের পঞ্চম বলেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলা। উনাদকাটের বলে জয় গোহিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বাংলার ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণ (০)। ১ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলা। পরের ওভারে জোড়া উইকেট হারায় বাংলা। সাকারিয়ার দ্বিতীয় বলেই শেলডন জ্যাকসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সুমন্ত গুপ্ত। এদিনই বাংলার হয়ে অভিষেক হল সুমন্তর। ১৯৮৯-৯০ মরসুমে রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে বাংলার হয়ে অভিষেক হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা। টসের সময় সে কথা মনে করিয়ে দেন বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। কিন্তু অভিষেক ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারলেন না সুমন্ত। সাকারিয়ার চতুর্থ বলে বোল্ড হয়ে যান সুদীপ কুমার ঘরামি। তিনি ভেবেছিলেন বল অফস্টাম্পের বাইরে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু বল সোজা স্টাম্পে লাগে। ২ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলা।

প্রথম ২ ওভারে ৩ উইকেট হারানোর পর লড়াইয়ের চেষ্টা করেন মনোজ ও অনুষ্টুপ মজুমদার। কিন্তু ৭ রান করেই উনাদকাটের বলে বিশ্বরাজ জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বাংলার অধিনায়ক। ১৭ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলা। অনুষ্টুপের উপর ভরসা ছিল দলের। কিন্তু তিনিও ১৬ রান করে চিরাগ জানির বলে হার্বিক দেশাইয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান। ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলা। এরপর লড়াই করছিলেন আকাশ ঘটক। কিন্তু ৪৮ বলে ১৭ রান করার পর তিনি ধৈর্য হারিয়ে উইকেট ছুড়ে দেন। সাকারিয়ার বলে পুল করতে গিয়ে উনাদকাটের হাতে ক্যাচ দেন আকাশ। দল যখন চাপে সেই সময় এরকম খারাপ শট খেলা উচিত হয়নি।

প্রথম সেশনের শেষে বাংলার স্কোর ৬ উইকেটে ৭৮। ক্রিজে শাহবাজ আহমেদ (২৬) ও অভিষেক পোড়েল (৫)। এই জুটি টিকে থাকলে ভদ্রস্থ স্কোর করতে পারে বাংলা।

আরও পড়ুন-

স্টিং অপারেশনে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, পদ খোয়াতে পারেন চেতন শর্মা

ভারত নয়, টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে অস্ট্রেলিয়াই, 'ভুল শুধরে' জানাল আইসিসি

অস্ট্রেলিয়া একটা সেশনের মধ্যেই অলআউট হয়ে যাবে ভাবিনি, বললেন রোহিত