সংক্ষিপ্ত

২৪ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারে খুব কম বোলারই সচিন তেন্ডুলকরকে বিব্রত করতে পেরেছিলেন। কোনওদিন বিপক্ষ দলের বোলারদের মাথায় চড়তে দিতেন না সচিন।

তরুণ প্রজন্মের ক্রিকেটপ্রেমীরা কেউই বোধহয় জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন পেসার হেনরি ওলোঙ্গার খেলা দেখেননি। কতজন তাঁর নাম শুনেছেন সেটা নিয়েই সন্দেহ। এই পেসারের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার স্থায়ী হয়েছিল ১৯৯৫ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত। জিম্বাবোয়ের অস্থির রাজনৈতিক অবস্থার মধ্যে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন ওলোঙ্গা। ২০০৩ বিশ্বকাপের পর আর জিম্বাবোয়ের হয়ে খেলেননি এই পেসার। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি ওলোঙ্গা। কিন্তু একটি কারণে তাঁকে মনে রেখেছেন সচিনের অনুরাগীরা। ওলোঙ্গার অহঙ্কার চূর্ণ করেছিলেন সচিন। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম স্মরণীয় সেই ম্যাচ। সেদিন সচিন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বিশ্ব ক্রিকেটের শাসনভার তাঁর হাতে।

সচিনের কেরিয়ারে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বছর ১৯৯৮। সে বছর তিনি অসাধারণ সাফল্য পেয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রয়াত লেগ-স্পিনার শেন ওয়ার্নকে সাধারণ বোলারের স্তরে নামিয়ে আনেন মাস্টার ব্লাস্টার। সে বছরের শেষদিকেই তাঁর সামনে পড়েন শারজায়। সচিন-ওলোঙ্গার প্রথম লড়াই হয় ১৯৯৮ সালের ১১ নভেম্বর। শারজায় ত্রিদেশীয় সিরিজে গ্রুপ লিগের ম্যাচে ওলোঙ্গার একটি বল হঠাৎ লাফিয়ে ওঠে। সেই বাউন্সার সামাল দিতে না পেরে ক্যাচ আউট হয়ে যান সচিন। তিনি যখন মাঠ ছাড়ছেন, তখন নানা অঙ্গভঙ্গি করছিলেন ওলোঙ্গা। চোয়াল শক্ত হয়ে গিয়েছিল মাস্টার ব্লাস্টারের। ওয়ার্নকে যিনি শাসন করেছেন, তাঁকে পেড়ে ফেলবেন ওলোঙ্গা! সেটা হয়ওনি। ফাইনালে ফের ভারতের সামনে পড়ে জিম্বাবোয়ে। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ১৯৬ রান করে জিম্বাবোয়ে। রান তাড়া করতে নেমে ওলোঙ্গাকে তাঁর মান বুঝিয়ে দেন সচিন। ৯২ বলে ১২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন মাস্টার ব্লাস্টার। তাঁর ইনিংসে ছিল ১২টি বাউন্ডারি ও ৬টি ওভার-বাউন্ডারি। ওলোঙ্গার বলে যখন একের পর বাউন্ডারি, ওভার-বাউন্ডারি মারছিলেন সচিন, তখন জিম্বাবোয়ের পেসারের মুখ ক্রমশঃ ম্লান হয়ে যাচ্ছিল। সচিনের কেরিয়ারে এই ইনিংস অন্যতম স্মরণীয়।

ওলোঙ্গা ছাড়াও আরও কয়েকজন বোলারের দম্ভ মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিলেন সচিন। তাঁদের অন্যতম পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার। ১৯৯৯ থেকে শুরু হয় সচিন-শোয়েব দ্বৈরথ। ইডেন টেস্টে প্রথম বলে সচিনকে বোল্ড করে প্রথম জয় পেয়েছিলেন শোয়েব। তবে এরপর বেশিরভাগ লড়াইয়েই জয় পান সচিন। শোয়েবের বিরুদ্ধে মাস্টার ব্লাস্টারের সবচেয়ে স্মরণীয় ইনিংস ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে। সেঞ্চুরিয়নে সেই ম্যাচে ৯৮ রান করেন সচিন। শোয়েবকে সাধারণ বোলারে পরিণত করেন মাস্টার ব্লাস্টার। ভারতীয় দল দুর্দান্ত জয় পায়।

আরও পড়ুন-

Sachin Tendulkar Birthday: ওডিআই-এর নতুন নিয়মে খেললে কত রান করত সৌরভ-সচিন জুটি?

Sachin Tendulkar 50: সচিনের জন্মদিনে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের গেটের নতুন নামকরণ

Sachin Tendulkar: সবসময় মাথা উঁচু করে চলেন, সচিনের জন্মদিনে শুভেচ্ছা যুবরাজের