সংক্ষিপ্ত

এবারের মহিলাদের বিশ্বকাপ ঘিরে অস্ট্রেলিয়ায় উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। পুরুষদের বিশ্বকাপের মতোই উত্তেজনা ছিল। প্রতিটি ম্যাচেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যায়।

রবিবার ছিল মহিলা বিশ্বকাপ ফাইনাল। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্পেন। এই ম্যাচ দেখার জন্য কলকাতার ব্রিটিশ ক্লাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের তরুণ ফুটবলারদের। বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখার জন্য বিশেষ আয়োজন করা হয়েছিল। স্পেন-ইংল্যান্ড ম্যাচ উপভোগ করেন লাল-হলুদের তরুণ ফুটবলাররা। দারুণ লড়াই করেও ইংল্যান্ড হেরে যাওয়ায় ব্রিটিশ হাই কমিশনের কর্তাদের মন খারাপ। তবে দলের লড়াইয়ে তাঁরা খুশি। ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার নিক লো ও অস্ট্রেলিয়ার কনসাল-জেনারেল রোয়ান আইনসওয়ার্থ বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখতে হাজির ছিলেন। তাঁদের ইস্টবেঙ্গলের জার্সি উপহার দেওয়া হয়। এই উপহার পেয়ে ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার ও অস্ট্রেলিয়ান কনসাল-জেনারেল খুশি।

২০১০ সালে প্রথমবার পুরুষদের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। সেবার নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে একমাত্র গোল করেন ইনিয়েস্তা। রবিবার প্রথমবার মহিলাদের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হল স্পেন। এদিন ফাইনালের প্রথমার্ধে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একমাত্র গোল করেন স্পেনের অধিনায়ক ওলগা কারমনা। পিছিয়ে পড়ে সমতা ফেরানোর জন্য অনেক চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। কিন্তু স্পেনের রক্ষণ অটুট থাকে। প্রথমার্ধেই ইংল্যান্ডের লরেন হেম্পের শট বারে লাগে। ফলে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হল স্পেন।

মহিলাদের নবম বিশ্বকাপ আয়োজন করে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। প্রথমবার দক্ষিণ গোলার্ধে আয়োজিত হল মহিলাদের বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্ট ঘিরে দর্শকদের অভূতপূর্ব উন্মাদনা দেখা গেল। প্রতিটি ম্যাচেই পূর্ণ ছিল গ্যালারি। টেলিভিশনেও দর্শকের হিসেব নতুন রেকর্ড গড়েছে। ফলে মহিলা ফুটবল নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। বিশ্বকাপের উন্মাদনা মহিলা ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দেবেই বলে আশা ফিফার।

আয়োজক দেশ অস্ট্রেলিয়া এবারের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। এশিয়ার অপর এক দল জাপানও ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। সেমি-ফাইনালে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। ফলে স্থানীয় ফুটবলপ্রেমীদের উৎসাহ ছিল বেশি। ৯টি স্টেডিয়ামে ২০ লক্ষেরও বেশি দর্শক খেলা দেখতে যান। রবিবার সিডনিতে ফাইনাল ম্যাচ দেখতে যান ৭৫,৭৮৪ জন দর্শক। ম্যাচ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে থাকতেই স্টেডিয়ামের বাইরে দর্শকদের ভিড় দেখা যায়। বিশ্বকাপ ফাইনাল উপলক্ষে উৎসবের মেজাজ ছিল। 

অস্ট্রেলিয়া ও স্পেন প্রথমবার মহিলাদের বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছে যায়। স্পেনের মতোই পুরুষদের বিশ্বকাপে একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ সালের সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তির আশায় ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু স্পেনই বাজিমাত করল। সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছয় ইংল্যান্ড। ফলে স্পেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলপ্রেমীরা খুশি।

আরও পড়ুন-

'আশা করি সাফল্য পাওয়া সবে শুরু হল,' ইন্টার মায়ামিকে প্রথম ট্রফি জিতিয়ে বার্তা মেসির

Lionel Messi : লিওনেল মেসির কেরিয়ারের ৪৪-তম খেতাব, প্রথম ট্রফি ইন্টার মায়ামির

সাদার্ন সমিতির বিরুদ্ধে ০-২ হার, কলকাতা লিগে চাপে পড়ে গেল মোহনবাগান