সংক্ষিপ্ত

কলকাতা সফরে এসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোনাল্ডিনহো গাউচো। তাঁকে ঘিরে মাতোয়ারা কলকাতার ফুটবল মহল।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গে একই দলে কোনওদিন খেলেননি। তবে লিওনেল মেসির কেরিয়ারের শুরুতেই বার্সেলোনায় ছিলেন রোনাল্ডিনহো গাউচো। তাঁর বাড়ানো বল থেকেই বার্সেলোনার সিনিয়র দলের হয়ে প্রথম গোল করেন মেসি। ফলে তাঁর প্রতি স্নেহ রয়েছে রোনাল্ডিনহোর। কলকাতায় আসার পর স্বাভাবিকভাবেই মেসি ও রোনাল্ডোর প্রসঙ্গ উঠেছে। তাঁদের সম্পর্কে নিজের মতামত জানালেন রোনাল্ডিনহো। তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, মেসি ও রোনাল্ডো পরের বিশ্বকাপে নিশ্চয়ই খেলতে পারবে। আশা করি ওরা সংযম বজায় রাখতে পারবে। ওদের ক্ষমতা ও দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই। ওরা যদি শরীরের যত্ন নিতে পারে এবং ওয়ার্কলোডের বিষয়ে সচেতন থাকে, তাহলে নিশ্চিতভাবেই ওরা পরের বিশ্বকাপে খেলতে পারবে।’

সোমবার ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর সংস্থা ইমামি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন রোনাল্ডিনহো। দুর্গাপুজোর আবহে তিনি রান্নায় হাত লাগান। দেড় দশক আগে পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে রান্না করতে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিরা। ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত, ফুটবলার হরমনজ্যোত খাবরা-সহ দলের অনেকেই ছিলেন।

এই অনুষ্ঠানে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে রোনাল্ডিনহোকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তারপর রান্না করে বাঙালি খাবার চেখে দেখেন এই কিংবদন্তি ফুটবলার। এরপর তিনি বিশ্ব ফুটবল নিয়ে নানা কথা বলেন। রোনাল্ডিনহোর সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন কুয়াদ্রাত। 

বার্সেলোনা, এসি মিলান, প্যারিস সাঁ-জা-র হয়ে খেলেছেন রোনাল্ডিনহো। সারা কেরিয়ারেই তিনি অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। কুয়াদ্রাতও বার্সেলোনার মানুষ। ফলে তিনি কাছ থেকে রোনাল্ডিনহোকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। ফের তাঁর সঙ্গে রোনাল্ডিনহোর দেখা হল। 

ব্রাজিলের হয়ে ৯৭ ম্যাচ খেলে ৩৩ গোল করেন রোনাল্ডিনহো। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে অসামান্য পারফরম্যান্স দেখিয়ে ব্রাজিলকে পঞ্চমবার চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করেন রোনাল্ডিনহো। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপেও তিনিই ব্রাজিলের প্রধান ভরসা ছিলেন। কিন্তু সেবার হতাশ করেন রোনাল্ডিনহো।

ফুটবলারদের স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া প্রসঙ্গে রোনাল্ডিনহো বলেন, 'আমি যখন পেশাদার ফুটবলার ছিলাম, তখন পুষ্টির দিকে বিশেষ নজর দিয়েছিলাম। পেশাদার ফুটবলারদের সংযম বজায় রাখতেই হবে। তবে পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর আমি অনেককিছুই চেখে দেখেছি। এমন অনেক খাবার খেয়েছি যা একইসঙ্গে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। একজন পেশাদার ফুটবলারকে শরীরের যত্ন নিতেই হয়। প্রতিটি অ্যাথলিটের ডায়েটেই প্রোটিন অত্যন্ত জরুরি। এটা সবারই মাথায় রাখা জরুরি। আমি পেশাদার ফুটবলার হিসেবে সংযম বজায় রেখেছি।' 

আরও পড়ুন-

Ronaldinho Gaúcho: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে রোনাল্ডিনহো

Fact Check: ফের Cristiano Ronaldo প্যালেস্টাইনের সমর্থনে! এই ভিডিও দেখেছেন?

YouTube video player