সংক্ষিপ্ত

কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেললেন ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। তিনি শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন।

কেরিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা সুনীল ছেত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, সুনীল ছেত্রী, জীবনের এক গৌরবোজ্জ্বল নতুন যাত্রার সূচনায় তোমাকে স্বাগত জানাই। তুমি আজ নতুন এক অধ্যায়ের মুখে! স্বাগতম! তুমি বাংলার সোনার ছেলে, জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক, এশিয়ার খ্যাতনামা ক্রীড়াতারকা, সারা বিশ্বে সমাদৃত গোলদাতা - সর্বার্থে সফল। আমি নিশ্চিত যে তুমি আমাদের গৌরব বাড়িয়েই চলবে এবং নিজের জন্য তথা আমাদের জন্য আরো অনেক অনেক সাফল্যের মুকুট ছিনিয়ে আনবে। আজকের দিনটি বিদায় জানানোর দিন নয়। আজকের দিনটি নতুন করে শপথ নেওয়ার দিন। তুমি তোমার পরিবার, বাংলা ও ভারতের মুখ ভবিষ্যতে আরও উজ্জ্বল করবে - এই আশা রাখি ও প্রার্থনা করি।'

সুনীলের জন্য গর্বিত ভারত

কলকাতাতেই পেশাদার ফুটবলার জীবন শুরু করেন সুনীল। কলকাতায় মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে খেলেছেন এই স্ট্রাইকার। তবে গত এক দশক ধরে বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে খেলছেন সুনীল। তিনি হয়তো এই ক্লাবের হয়ে খেলেই কেরিয়ার শেষ করবেন। তবে কলকাতায় ফিরে আসতেও পারেন সুনীল। কারণ, প্রথম যে ক্লাবের হয়ে পেশাদার ফুটবলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন সেই মোহনবাগানের প্রতি আলাদা আবেগ রয়েছে। সুনীলের শ্বশুর মোহনবাগানের প্রাক্তন অধিনায়ক ও কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য। ফলে মোহনবাগানের হয়ে খেলে ক্লাব কেরিয়ার শেষ করতে পারেন সুনীল।

 

 

সুনীলের বিদায়ী ম্যাচে আবেগের বিস্ফোরণ

সুনীলের শেষ ম্যাচে বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের গ্যালারি প্রায় পূর্ণ ছিল। কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে আলাদা উন্মাদনা দেখা যায়। ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক আই এম বিজয়ন, প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসকে গ্যালারিতে দেখা গেল। সবাই সুনীলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

"সুনীল ছেত্রী মানে একটা যুগ" একান্ত সাক্ষাৎকারে অকপট প্রাক্তন গোলরক্ষক শিল্টন পাল

"সুনীলের রেকর্ড আগামী দশ বছরেও কেউ ভাঙতে পারবে না" একান্ত সাক্ষাৎকারে বললেন মেহতাব

Sunil Chhetri: ফুটবলারদের কাছে আদর্শ উদাহরণ সুনীল ছেত্রী, বলছেন অলোক মুখোপাধ্যায়