সংক্ষিপ্ত

কাতার বিশ্বকাপ জেতার পর মনে করা হয়েছিল লিওনেল মেসির প্রতি আর্জেন্টিনার মানুষের আর কোনও ক্ষোভ নেই। তাঁকে নিজেদের করে নিয়েছেন সবাই। কিন্তু সেই ধারণা ভুল।

'মেসি, আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।' ঠিক এই ভাষাতেই আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ককে হুমকি দিল দুষ্কৃতীরা। অবশ্য শুধু হুমকি দিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি তারা। মেসির স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জোর পরিবারের মালিকানাধীন একটি সুপার মার্কেটে গুলিও চালানো হয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে মেসির জন্মস্থান রোজারিওতেই। মেসির পাশাপাশি রোজারিও শহরের মেয়র পাবলো জ্যাভকিনকেও খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত খবর ও মেয়রের বক্তব্যে জানা গিয়েছে, দুই মোটরবাইক আরোহী ওই সুপার মার্কেটে গিয়ে গুলি চালায়। এরপর চলে যাওয়ার আগে তারা একটি দোকানের সামনে হুমকি চিঠি রেখে যায়। এই ঘটনায় মেসির পরিবার আতঙ্কিত। রোজারিওর মেয়র এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি এই ঘটনার জন্য নিরাপত্তারক্ষীদেরই দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি, গত কয়েক বছরে শহরে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব বেড়ে গিয়েছে। মেসির পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন রোজারিওর মেয়র।

যে সুপার মার্কেটে হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা, সেখানকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু কেন মেসিকে হুমকি দেওয়া হল বা তাঁর শ্বশুরের মালিকানাধীন সুপার মার্কেটে হামলা চালানো হল, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। রোজারিওর মেয়র ওই সুপার মার্কেট পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। যারা এই কাজ করেছে তারা বিশ্বাসঘাতক। মেসির উপর আক্রমণের চেয়ে সারা বিশ্বে কোন খবর বেশি গুরুত্বপূর্ণ? আমি মেসির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা সবাই আতঙ্কিত।’

স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ওই সুপার মার্কেটে যখন হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা, সেই সময় দোকানগুলি বন্ধ ছিল। সুপার মার্কেটের সামনে ১৪ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্লদিও ব্রিলোনি জানিয়েছেন, কী কারণে এই সুপার মার্কেটে হামলা চালানো হল বা মেসিকে হুমকি দেওয়া হল, সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।

কাতার বিশ্বকাপ জেতার পর দেশে ফিরেছিলেন মেসি। বেশ কিছুদিন তিনি আর্জেন্টিনাতেই ছিলেন। তারপর থেকে প্যারিসেই আছেন এই তারকা ফুটবলার। তবে এ মাসেই দেশে ফিরতে পারেন তিনি। দু'টি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। ২৩ মার্চ বুয়েনস আইরেসে পানামার বিরুদ্ধে এবং ২৮ মার্চ কিউরুসাওয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে। মেসিকে যদি এই দুই ম্যাচের জন্য আর্জেন্টিনা দলে রাখা হয়, তাহলে তিনি দেশে ফিরবেন। তবে তার আগেই এই ফুটবলারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন-

প্রধানমন্ত্রী মোদীকে লিওনেল মেসির জার্সি উপহার দিলেন আর্জেন্টিনার বিদেশমন্ত্রী

বেঞ্জেমার বদলে মেসিকে ভোট, রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণ আলাবাকে

ভূমিকম্পে সব হারানো শিশুদের জন্য ফুটবল মাঠে পুতুল ছুড়ে দিলেন দর্শকরা, কুর্ণিশ দুনিয়ার