সংক্ষিপ্ত

মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধেও জিততে পারল না ভারত। 

এমনিতে পরের বছর মার্চ মাসের আগে আর কোনও ম্যাচ নেই। এদিন মালয়েশিয়াকে প্রথমেই এগিয়ে দেন পাওলো জোসুয়ে। উল্টোদিকে ভারতের হয়ে সমতা ফেরান রাহুল ভেকে। ম্যাচটি প্রদর্শনী হলেও, সেইভাবে দাপট দেখাতে পারল না ভারত। শুরু এবং ম্যাচের মাঝে কিছুটা আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেললেও বেশিরভাগটাই ছন্নছাড়া ফুটবল। বিপক্ষের বক্সে একাধিক আক্রমণ তুলে আনলেও, গোল করার লোক ছিল না। যেন সুনীল ছেত্রীর অভাব বারবার স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ফারুখ চৌধুরিকে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলানোর পরিকল্পনা যে একেবারেই কোনও কাজে আসছে না, তা যেন আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল। তাছাড়া ডিফেন্সেরও একাধিক ভুল নজরে এল। যদিও ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছিল ভারত। সেইসঙ্গে, উইং দিয়ে আক্রমণে ওঠারও চেষ্টা করছিল বারবার।

ওদিকে ডানদিক থেকে একাধিকবার আক্রমণে উঠে আসছিলেন রাহুল ভেকে। তবে গোল করতে ব্যর্থ দল। এদিন গুরপ্রীতের ভুলে গোল হজম করে ভারত। গুরপ্রীত অকারণে অনেকটাই এগিয়ে এসেছিলেন। বল মাটিতে পড়ে লাফানোর পর তিনি আর ধরতে পারেননি। পাশে থাকা সন্দেশ ঝিঙ্গানও কিছু করে উঠতে পারেননি। আর গুরপ্রীতের ঠিক পাশেই ছিলেন জোসুয়ে। তিনি গুরপ্রীতকে অনায়াসে কাটিয়ে ফাঁকা গোলে বল ঠেলে দেন।

এরপর নিজেদের ভুলে গোল খেয়ে কিছুক্ষণের জন্য খেলার গতি কমে যায় ভারতের। কিন্তু ধীরে ধীরে আবার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ফুটবল খেলতে শুরু করেন তারা। ডানদিক থেকে ছাংতে এবং ভেকের যুগলবন্দি নজর কাড়ে সবার। এদিন অভিষেক ম্যাচে খেলতে নেমে নজর কাড়েন ইরফান ইয়াদওয়াদও।

অন্যদিকে, ডানদিক থেকে ছাংতে একের পর এক ক্রস তুললেও তা কাজে আসেনি। ভারত সমতা ফেরায় বিরতির ঠিক ৬ মিনিট আগে। ক্রস থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করে যান ভেকে। তবে তার দুমিনিট পরে আরও একটি কর্নার পেলেও তা আর কাজে লাগাতে পারেনি ভারত।

দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনও গোল হয়নি। শেষপর্যন্ত, ম্যাচ শেষ হয় ১-১ ফলাফল নিয়ে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।