সংক্ষিপ্ত

ভদ্র-নম্র স্বভাবের ফুটবলার বলেই পরিচিতি ছিল তাঁর। সুদূর বেঙ্গালুরু থেকে এসেছিলেন কলকাতায়। এরপর আর ফিরে যাওয়া হয়নি। সেই থেকে কলকাতারই বাসিন্দা ছিলেন বাবু মানি।

 

চলে গেলেন বাবু মানি। লিভার জনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬১। বেঙ্গালুরুর ছেলে বাবু মানি সেখানকার স্থানীয় ফুটবল লিগে একের পর এক কীর্তি স্থাপন করছিলেন। অল্প বয়সী বাবু মানির মাথার মধ্যে কেউ যেন ঢুকিয়ে দিয়েছিল ফুটবলের মক্কা কলকাতার ক্লাবে খেলার চিন্তাটা। ১৯৮৩ সালে কলকাতায় চলে এসেছিলেন মানি। যোগ দিয়েছিলেন মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবে।

সম্প্রতি বাংলার ফুটবল হারিয়েছে সুভাষ ভৌমিক থেকে শুরু করে সুরজিৎ সেনগুপ্ত, বদ্রু ব্যানার্জি-সহ ভারতীয় ফুটবলের আরও কিছু দিকপালকে। এঁদের মধ্যে অনেকে আবার বাবু মানির সময়ের সিনিয়র প্লেয়ার ছিলেন। কেউ ছিলেন আবার কোচ।

১৯৮৩ সালে বাবু মানি যখন কলকাতায় পা রেখেছিলেন তখন তাঁর প্রথম ক্লাব ছিল মহমেডান স্পোর্টিং। তাঁর দুরন্ত গতির ফুটবল দেখে মোহনবাগান ১৯৮৪ সালে বাবু মানিকে ছিনিয়ে নেয়। সেই সময় দলবদল মানে একটা নাটকীয় ব্যাপার। কে কার ফুটবলারকে অপ়হরণ করে সই করাতে নিয়ে যাচ্ছে তার ইয়ত্তা ছিল না। এমনভাবে বহু ফুটবলার মরসুমে যে ক্লাবের হয়ে খেলার কথা, দেখা গিয়েছে সে অন্য ক্লাবের হয়ে খেলছে। রাইট উইঙ্গারের প্লেয়ার ছিলেন মানি। তাঁর প্রধান অস্ত্র ছিল ড্রিবলিং করার ক্ষমতা এবং চোরা গতি। যা প্রতিপক্ষকে হতচকিত করে দিত।

মোহনবাগানে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত খেলেছিলেন বাবু মানি। ১৯৮৭ সালে ছিলেন দলের অধিনায়ক। কিন্তু, দলের উপর গোঁসা করে ফের মহমেডানে পা বাড়ান মানি। এরপর সেখান থেকে চলে যান ইস্টবেঙ্গলে। ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলে খেলেছিলেন। ১৯৯৩ সালে ফের মোহনবাগানে ফিরে আসেন। কিন্তু, এর পরের বছর অফিসগুলো তাদের দলে খেলার জন্য ময়দানের ক্লাবগুলিতে খেলা ফুটবলারদের উপরে জোর করে নির্দেশিকা চাপায়। যার জেরে বাবু মানি তাঁর দফতর এফসিআই-এর হয়ে খেলতে বাধ্য হয়েছিলেন। এর পরের বছর ফের মোহানবাগানে ফিরে আসেন মানি। এক বছর মোহনবাগানের হয়ে খেলার পর তিনি অবসর নিয়ে নেন।

এশিয়ান কাপে ১৯৮৪ সালে বাবু মানির খেলা দেশজুড়ে ফুটবল ভক্তদের মনে তাঁকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। ১৯৮৫ সালে ঢাকায় সাফ গেমসে যে ভারতীয় ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাবু মানি ছিলেন তার সদস্য। এরপরও বাবু মানিদের দলে থাকাকালীন ভারত সাফ গেমসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, আর সালটা ছিল। ১৯৮৭। ১৯৯০ সালে ত্রিমুকুট জেতা ইস্টবেঙ্গল দলের সদস্যও ছিলেন মানি। 
আরও পড়ুন-  বিশ্বকাপের খবর
ভক্তদের উৎসাহে জল ঢেলে ভেঙে পড়ল মেসির বিশাল কাটআউট, ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল 
তিন তলা আবাসনের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ঢেকেছে মেসির পোস্টারে, আপাতত কদিন সুজাতা বাঁচবেন বিশ্বকাপের যাপনে 
রবিবার থেকে শুরু বিশ্বকাপ ফুটবল, জেনে নিন প্রিয় দলগুলি কবে মাঠে নামছে