সংক্ষিপ্ত
মহামেডান স্পোর্টিং-এর অন্দরে যেন আলো-আঁধারির রহস্যময়তা।
এবার ক্লাবকর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে সুর চড়ালেন মহামেডান সমর্থকরা। বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে বিরোধের পরেই বহু সমর্থক ক্লাবের বাইরে জড়ো হন। তাদের দাবি, কর্তাদের নানা আচরণের ফলে মহামেডান ক্লাবের মানহানি হচ্ছে।
তাই অবিলম্বে সরে দাঁড়ানো উচিত এই সমস্ত কর্তাদের। বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি সমর্থকরা দাবি করেন, তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে।
এমনিতেই বেশ কয়েকদিন ধরে ব্যাপক ঝামেলা চলছে সাদাকালো শিবিরে। শেয়ার হস্তান্তর হয়নি বলে অভিযোগ তুলে বিনিয়োগ স্থগিত রেখেছে মহামেডানের ইনভেস্টর শ্রাচী গ্রুপ। অপর আরেক ইনভেস্টর বাঙ্কারহিলও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঠিক এইরকম জটিল পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে মহামেডান স্পোর্টিং দলের ফুটবলারদের বেতন।
তারই প্রতিবাদে তারা অনুশীলন বয়কটের পথেও হেঁটেছেন। এমনকি, মাঠে এলেও অনুশীলন করতে নামেননি ফুটবলাররা। আর এই গোটা বিষয়টির জেরে, মহামেডান ক্লাবের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলেই মত বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের। সেই কারণে, ক্লাব প্রাঙ্গনে হাজির হয়ে তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
অন্যদিকে, কিছুটা জটিলতা কেটেছে মহামেডান ফুটবলারদের মধ্যে। এদিন যুবভারতীতে ফ্র্যাঙ্কোদের অনুশীলন করার কথা ছিল। সেখানে পৌঁছে যান মহামেডান ক্লাবের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ। সেইসঙ্গে, মহামেডানের আরও ২-৩ জন কর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সকলেই ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তারপরেই মাঠে নেমে পুরোদমে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন মহামেডান ফুটবলাররা। কিন্তু ক্লাব প্রাঙ্গনে বিক্ষোভে অনড় থাকেন সমর্থকরা।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই ডামাডোল শুরু হয়ে গেছিল মহামেডানে। দুই প্রধান বিনিয়োগকারী সংস্থার চিঠি পাওয়ার পর, ক্লাব তাঁবুতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে যান মহামেডান কর্তারা। বাঙ্কারহিলের তরফ থেকে দীপক কুমার সিং ছিলেন সেই বৈঠকে। অন্যদিকে, শ্রাচীর তরফে রাহুল টোডি ছিলেন জুম কলে।
কার্যত, একপ্রকার বাধ্য হয়েই মহামেডান কর্তারা জানিয়ে দেন, তারা শেয়ার ট্রান্সফারের কাজটা ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু কবে সেই প্রক্রিয়া শেষ হবে এবং ততদিন পর্যন্ত ক্লাবের কার্যকলাপ কীভাবে চলবে, তা নিয়ে রীতিমতো ধোঁয়াশা। কিন্তু শেয়ার ট্রান্সফার তো আগেই হওয়ার কথা ছিল, এতদিন তাহলে কী করছিলেন কর্তারা?
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।