সংক্ষিপ্ত

এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, বিশাল চাপে আছে মহামেডান স্পোর্টিং ফুটবল দল। 

গোটা দলের সংগ্রহে মাত্র ৫ পয়েন্ট। লিগ টেবিলে ইস্টবেঙ্গলের থেকে একটু আগে দ্বাদশ স্থানে রয়েছে তারা। স্বাভাবিকভাবেই কোচ আন্দ্রে চেরনিশভের উপর ক্রমশই চাপ বাড়ছে। তাঁকে সরানো হবে কি হবে না? এই নিয়েই শুরু হয়ে গেছে জল্পনা। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের কথাও।

লাগাতার ব্যর্থতার জেরে তাঁকে সরিয়ে দিয়ে অপর এক স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোকে কোচ করে আনার পরই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল। স্বাভাবিকভাবেই মহামেডান ক্লাবে কান পাতলেই এইরকম কিছু আলোচনা শোনা যাচ্ছে। এইরকম ব্যর্থতার পরেও কেন সরানো হবে না কোচ চেরনিশভকে? প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন সমর্থকদের একাংশ।

কিন্তু মহামেডানের বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রাচী স্পোর্টস এখনও চেরনিশভের পাশেই আছে। সংস্থার কর্ণধার রাহুল টোডির মতে, এই ব্যর্থতার জন্য কোচ খুব একটা দায়ী নন। বরং, দায়ভার নেওয়া উচিৎ দলের ফুটবলারদের। আসলে মহামেডানের ফুটবলারদের যখন দলে নেওয়া হয়েছিল, তখন দায়িত্বে ছিল না শ্রাচী স্পোর্টস।

ফলে, জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে কোচ চেরনিশভের সঙ্গে আলোচনা করে বেশ কিছু ভালো ফুটবলার নেওয়ার পরিকল্পনায় রয়েছেন তারা। এই মুহূর্তে সত্যি কি ভালো ভারতীয় ফুটবলার পাওয়া সম্ভব? এই প্রসঙ্গে রাহুল টোডি জানিয়েছেন, “ট্রান্সফার উইন্ডোতে একাধিক ক্লাবই অনেক ভালো ফুটবলার ছেড়ে দিতে পারে। ভালো ফুটবলার পেলেই নিয়ে নেব আমরা।”

অন্যদিকে, চেরনিশভকে এই মুহূর্তে সরাতে গেলে বিশাল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। তার উপর নতুন কোচ আনতে গেলে তাঁকেও অনেক বেশি বেতন দিতে হবে। তাছাড়া সুযোগ যখন আছে তখন নতুন ফুটবলার নিয়েই দেখা যাক জানুয়ারি মাসের ট্রান্সফার উইন্ডোতে, এইরকমটাই ভাবছেন তারা।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।