সংক্ষিপ্ত

বেজায় সমস্যায় পড়েছে মোহনবাগান। জামশেদপুরে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে গিয়ে প্রবল সমস্যার সম্মুখীন সবুজ মেরুন।

বেজায় সমস্যায় পড়েছে মোহনবাগান। জামশেদপুরে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে গিয়ে প্রবল সমস্যার সম্মুখীন সবুজ মেরুন।

কারণ, হোটেলের ঘর এবং অনুশীলনের মাঠ পাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েছে তারা। আগামী শুক্রবার, অর্থাৎ ২৩ অগাস্ট কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামবে মোহনবাগান। কিন্তু একটি সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এই ম্যাচের আগে বেশ চিন্তায় রয়েছেন জোসে মোলিনা।

কারণ, অনুশীলনের জন্য কোনও মাঠই নেই জামশেদপুরে। আবার মূল মাঠে অনুশীলন করার কোনও অনুমতি মেলেনি। এদিকে মোহনবাগান দলে রয়েছেন একাধিক বিশ্বকাপার। তাই যেকোনও মাঠে অনুশীলনের জন্য তাদের নামাতে চাইছেন না কোচ। সেক্ষেত্রে চোট পাওয়ারও একটা সম্ভাবনা আছে।

অন্যদিকে, জামশেদপুরে হোটেল নিয়েও বেজায় সমস্যায় রয়েছে মোহনবাগান। দলের প্রয়োজন মোট ৩২টি ঘরের। কিন্তু জানা গেল, ২০টির বেশি ঘরই পাওয়া যাচ্ছে না। আবার দলকে দুটি আলাদা হোটেলে রাখাও সম্ভব হচ্ছে না। তাতে অবশ্য একেবারেই রাজি নয় মোহনবাগান নিজেই। অতএব, একই হোটেলে তাদের রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এইসব সমস্যার দরুণ মোহনবাগান (Mohun Bagan) চাইছে তারা যদি সেমিফাইনাল বা ফাইনালে ওঠে, তাহলে সেই ম্যাচগুলি যেন অবশ্যই কলকাতায় রাখা হয়। এমনিতে ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) সূচি অনুযায়ী, দুটি সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল কলকাতাতেই হওয়ার কথা। কিন্তু আর জি কর কাণ্ডের জেরে যা পরিস্থিতি, তাতে কেউ কেউ মনে করছেন যে ডুরান্ডের আর কোনও ম্যাচই হয়ত কলকাতায় হবে না।

তবে ডুরান্ডের গ্রুপ পর্বে মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ বাতিল করে দেওয়ার পর রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন দুই দলের সমর্থকরা। আর জি কর (RG Kar) কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবির সঙ্গে তারা ডার্বি বাতিল নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেকে তো বলেই দিলেন, “প্রতিবাদ মিছিল আটকাতে এত পুলিশ দেওয়া গেল, অথচ ডার্বি আয়োজন করার জন্য পুলিশ পাওয়া গেল না?”

একটি অংশের মতে, আর নতুন করে যুবভারতী থেকে ম্যাচ হয়ত সরানো হবে না। কারণ, তাদের দুটি যুক্তি রয়েছে। এক হল, ফাইনাল রয়েছে আগামী ৩১ অগাস্ট। ঐ দিন যদি ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান মুখোমুখি হয়, তা হলেও ম্যাচ যুবভারতীতেই হবে। কারণ, অনেকেই আশা করছেন যে, ততদিনে হয়ত পরিস্থিতি শান্ত এবং স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

যদি তা নাও হয়, তা হলেও উদ্যোক্তারা আর ম্যাচ সরাবেন না বলেই মনে করছেন তারা। কারণ, রবিবার বোঝা গেছে যে, আর জি কর কাণ্ডে ফুটবলপ্রেমীরা যতটা ক্ষুব্ধ, ততটাই কিন্তু তারা বিরক্ত এই ডার্বি বাতিল নিয়ে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।