সংক্ষিপ্ত

মরক্কোর ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা কয়েক হাজার। এখনও পর্যন্ত মোট ক্ষয়ক্ষতির চিত্র স্পষ্ট নয়। উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে। তবে বহু মানুষের কাছে এখনও ত্রাণ পৌঁছয়নি।

মরক্কোর ভয়াবহ ভূমিকম্পে সারা বিশ্বের অনেক ফুটবলারের পাশাপাশি শোকপ্রকাশ করেন পর্তুগাল ও আল-নাসরের তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তখনই জানা যায়, মারাকেশে তাঁর যে হোটেল আছে, সেখানে ভূমিকম্পে বাসস্থানহীন হয়ে পড়া ব্যক্তিদের আশ্রয় দেওয়া হবে। সেই খবরে সারা বিশ্ব কুর্ণিশ জানায় রোনাল্ডোকে। কিন্তু পরে জানা গিয়েছে, এই খবর আদৌ সত্যি নয়। রোনাল্ডোর হোটেলে কাউকেই ঠাঁই দেওয়া হচ্ছে না। স্বয়ং হোটেলের ম্যানেজার এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে 'সিআরসেভেন' ভূমিকম্প-বিধ্বস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে যে প্রচার শুরু হয়েছিল, সেটা সত্যি নয়। এই খবর পেয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা রোনাল্ডা অনুরাগীরা একটু হতাশ হয়েছেন।

রোনাল্ডোর হোটেল 'পেস্তানা সিআর৭'-এর পক্ষ থেকে সরকারিভাবে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আমাদের কাছে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ব্যক্তিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য অনেক অনুরোধ এসেছিল। কিন্তু এটা বলা ঠিক নয় যে আমরা শরণার্থী বা ভূমিকম্পের ফলে বাড়িঘর হারানো ব্যক্তিদের আশ্রয় দিচ্ছি। কেউ হয়তো হোটেলের লবিতে গৃহহীনদের দেখতে পেয়েছে। এমনও হতে পারে যে হোটেলের বাইরে গৃহহীন ব্যক্তিরা ছিলেন। সেই থেকেই সবার ধারণ তৈরি হয়েছে যে এই হোটেলে তাঁদের রাখা হচ্ছে।'

স্পেনের এক পর্যটক সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, ভূমিকম্পের পর সব হোটেলেই গৃহহীনদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ হোটেলের পাশাপাশি বিলাসবহুল হোটেলগুলিও এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এরপরেই স্পেনের একটি বিখ্যাত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, রোনাল্ডোর হোটেলে গৃহহীনদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। ওই পর্যটক দাবি করেন, 'অনেকেই ভয় পাচ্ছিলেন, ফের ভূমিকম্প হতে পারে। সেই কারণে অনেকে পথে রাত কাটিয়েছেন। আমরা অবশ্য ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর হোটেলে ঘর পেয়েছিলাম। আরও অনেকেই এখানে আশ্রয় পেয়েছে।'

এই সাক্ষাৎকারের পরেই রটে যায়, রোনাল্ডোর হোটেলে ভূমিকম্প-বিধ্বস্তদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রোনাল্ডোর হোটেলের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই হোটেলে শরণার্থী হিসেবে কাউকে রাখা হচ্ছে না। ভূমিকম্পে মরক্কোয় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হলেও, হোটেলটি অক্ষত আছে। ফলে স্বস্তিতে হোটেলের কর্মীরা।

মরক্কোর জাতীয় দলের ফুটবলাররা ত্রাণকার্যে সাহায্য করছেন। সারা বিশ্ব থেকে সমবেদনা ও সাহায্য আসছে। অনেকেই রক্তদান করছেন। গৃহহারাদের কাছে খাবার, পানীয় জল, ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরতে এখনও অনেকদিন লেগে যাবে। আপাতত ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারের কাজ চালানো হচ্ছে। ত্রাণকার্যকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন-

Paul Pogba: ডোপিংয়ের দায়ে সাসপেন্ড পল পোগবা পাশে পেলেন জাতীয় দলের সতীর্থদের

Argentina Vs Bolivia: ১০ নম্বর জার্সি পরলেন অন্য একজন, মেসির বিকল্প পেয়ে গেল আর্জেন্টিনা?

Mohun Bagan Supar Gaint : ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে বদলা, সবুজ-মেরুন শিবিরে উচ্ছ্বাস