সংক্ষিপ্ত
যেন একটি যুগের অবসান। আগামী ৬ জুন নিজের আন্তর্জাতিক ফুটবল জীবন থেকে অবসর নিতে চলেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। এই প্রসঙ্গেই এশিয়ানেট নিউজ বাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হলেন প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস।
যেন একটি যুগের অবসান। আগামী ৬ জুন নিজের আন্তর্জাতিক ফুটবল জীবন থেকে অবসর নিতে চলেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। এই প্রসঙ্গেই এশিয়ানেট নিউজ বাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হলেন প্রাক্তন ফুটবলার এবং মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস।
প্রসঙ্গত, আগামী ৬ জুন কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কুয়েতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের যোগ্যতানির্ধারণী ম্যাচে খেলতে নামছে ভারত। ব্লু-টাইগার্সদের কাছে কার্যত মরণবাঁচন ম্যাচ। আর ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম তারকা সুনীলের শেষ ম্যাচ। স্বভাবতই, এই ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে ক্রমশই। সেইসঙ্গে, ফুটবলপ্রেমী বাঙালির ঘরের মাঠে আয়োজিত হতে চলেছে এই ঐতিহাসিক ম্যাচ। নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ একটি বিষয়।
আর এবার সেই সুনীল ছেত্রী প্রসঙ্গেই এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে দীপেন্দু বিশ্বাস বললেন, “অবসরের জন্য সুনীল সঠিক জায়গাকেই বেছে নিয়েছে। যেকোনও খেলোয়াড়ের কাছে অবসরের নেওয়ার সময় যুবভারতীর মাঠটা সবথেকে ভালো। প্রথমত ভারত খেলবে, এত বড় ম্যাচ। তার মধ্যে সুনীল শেষ ম্যাচ খেলবে। অনেকটা আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। সুনীলের মতো স্ট্রাইকার আমাদের জন্য অ্যাসেট।”
প্রাক্তন এই ফুটবলার আরও যোগ করেন, “শেষ কয়েকটা ম্যাচে যুবভারতীতে ভালো দর্শক উপস্থিত ছিল। ফলে, এই ম্যাচেও ভালোই ভিড় হবে। লোক মাঠে আসছে। এর আগে অলিভার কানের বিদায়ী ম্যাচে প্রায় ১ লাখের কাছাকাছি লোক হয়েছিল। সেইখানে দাঁড়িয়ে সুনীলের এই ম্যাচে প্রচুর সমর্থকের আসা উচিৎ। ও দেশকে অনেক কিছু দিয়েছে। সুনীল যেভাবে ভারতের হয়ে গোল করেছে তাতে ওর সম্মান প্রাপ্য। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারদের সঙ্গে ওর তুলনা করা হচ্ছে। তাই এই ম্যাচটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে সুনীলের জন্য।”
তাঁর মতে, “সুনীল খুব ভালো ছেলে। সুনীলের জায়গা পূরণ করতে সময় লাগবে। একটা সময় বাইচুং ছিল, পরে এল সুনীল। পরবর্তীতেও নিশ্চয়ই কেউ আসবে। নতুনদের আরও বেশি করে খেলার সুযোগ দিতে হবে। আমরা অনেকদিন ধরে যে কথাটা বলে আসছি, শেষপর্যন্ত স্টিমাচ সেই কাজটি করেছেন। আই লিগের ফুটবলারদের মাঝে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাকা হত না। আগে আমাদের সময় সন্তোষ ট্রফি কিংবা কলকাতা লিগে ভালো খেললে জাতীয় দলে ডাক পেত ছেলেরা। শুধু আইএসএল থেকে ডাকলে হবে না। তাই আই লিগ, আইএসএল, ডুরান্ড, সুপার কাপ, সব জায়গা থেকেই ভালো ভালো ছেলেদের জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়া জরুরি।”
সবমিলিয়ে, সুনীলের বিদায়বেলায় প্রাক্তন ফুটবলাররা বেশ আবেগপ্রবণ এবং ভবিষ্যৎ নিয়েও আশাবাদী।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।