সংক্ষিপ্ত

বিশ্ব ফুটবলে শেষ হল সুয়ারেজ যুগ। প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়েই নিজের বর্ণময় ফুটবল ক্যারিয়াররে সমাপ্তি ঘটালেন উরুগুয়ের (Uruguay) তারকা ফুটবলার লুইস সুয়ারেজ (Luis Suarez)।

বিশ্ব ফুটবলে শেষ হল সুয়ারেজ যুগ। প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়েই নিজের বর্ণময় ফুটবল ক্যারিয়াররে সমাপ্তি ঘটালেন উরুগুয়ের (Uruguay) তারকা ফুটবলার লুইস সুয়ারেজ (Luis Suarez)।

জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচটা অবশ্য জিততে পারলেন না তিনি। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বের ম্যাচে উরুগুয়ে বনাম প্যারাগুয়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়। তাই জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচে জয় হাতছাড়া হল সুয়ারেজদের।

ঘরের মাঠে উরুগুয়ে ৬৫ শতাংশ বল পজিশন রাখলেও, গোল করতে পারেনি তারা। উল্টোদিকে প্যারাগুয়েও পার্থক্য গড়ে তুলতে পারেনি এই খেলায়।

তবে সবার নজর ছিল সেই সুয়ারেজের দিকেই। শুরু থেকেই তিনি মাঠে ছিলেন এই ম্যাচে। সুয়ারেজের নাম ব্যানার এবং টিফোও ছিল গ্যালারিতে। মাঠে ছিল তাঁর পরিবারও। এদিন মাঠে এসেছিলেন উরুগুয়ের কিংবদন্তী কোচ অস্কার তাবারেজ। সুয়ারেজকে তিনি কার্যত জড়িয়ে ধরেন।

উরুগুয়ের স্ট্রাইকার এরপর আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। কেঁদে ফেলেন তিনি। সুয়ারেজের বিদায়ী অনুষ্ঠানে মেসির বার্তাও দেখানো হয়। স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে ফুটে ওঠে সেই কথা। দেশের জার্সিতে ১৪৩টি ম্যাচে ৬৯টি গোল করেছেন সুয়ারেজ।

প্রসঙ্গত, গত ২০০৭ সালে উরুগুয়ের হয়ে অভিষেক ঘটে সুয়ারেজের। উরুগুয়ের ফুটবল ইতিহাসের টপ স্কোরারও তিনিই। তাঁকে ঘিরে রয়েছে একাধিক বিতর্ক। যার মধ্যে অবশ্যই আসবে সেই ২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে ঘানার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে বিখ্যাত হ্যান্ডবলের মুহূর্ত। আবার ইতালির চিয়েল্লিনিকে কামড়ে দেওয়া নিয়েও কম চর্চা হয়নি।

এইসবকিছু নিয়েই সুয়ারেজ। মাঠের ভিতরেও দাপট দেখিয়েছেন বহু ম্যাচে। তাঁর কথায়, “এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা যথেষ্ট কঠিন ছিল। তবে এটাও ঠিক যে, শেষ ম্যাচ পর্যন্ত আমি নিজের সবটা দিয়েছি। তাই আমার মধ্যের আগুন এখনও নেভেনি।”

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।