সংক্ষিপ্ত

২০২৩ সালে ভারতের আয়োজিত হতে চলেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির অধিবেশন। আইওসি সদস্য নীতা আম্বানির স্পিচের পর এই বিড জেতে ভারত। এই ইভেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়া দেশের কাছে গর্বের বলে মত নীতি অম্বানি  থেকে শুরু করে অলিম্পিকে সোনা জয়ী অভিনব বিন্দ্রা, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের।
 

টোকিও অলিম্পিক্স ভারতের সাফল্য দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।  একটি সোনা সহ, ২টি রুপো,৪ টি ব্রোঞ্জ। অলিম্পিকের ইতিহাসে সেরা পারফরম্যান্স করে ভারতীয় অ্যাথলিটরা। নীরজ চোপড়া, পিভি সিন্ধু, লভলিনা বর্গোহাইন, মীরাবাঈ চানুদের সাফল্য ক্রিকেট, ফুটবলের বাইরেও অন্য়ান্য স্পোর্টসে দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছে। এবাপ ভবিষ্যতে ভারতীয় ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নতির ক্ষেত্রে ও ভারতের মাটিতে অলিম্পিক্সের মতো মেগা ইভেন্টের আয়োজনের স্বপ্নকে আর এক পা সামনের দিকে এগিয়ে দিতে এল বড়  ঘোষণা। ২০২২ সালে ভারতের মাটিতে বসতে চলেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদস্যদের বৈঠক। যেই বৈঠক আয়োজন করা দেশের কাছে গর্বের। 

বেইজিংয়ে শাতকালীন অলিম্পিক্স শেষ হওয়ার প্রাক্কালে ২০২৩ সালে আইওসির ১৩৯ তম অধিনবেশন আয়োজনের বিড জেতে ভারত। ভারতের আইওসির সদস্য  শ্রীমতি নীতা আম্বানি এই বিড জয়ের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য বক্তব্য রেখেছেন। আইওসি অধিবেশন হল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদস্যদের বার্ষিক সভা যা ভবিষ্যতে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিকের আয়োজক শহরের নির্বাচন সহ বিশ্ব জুড়ে অলিম্পিক মুভমেন্টের মূল কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। অলিম্পিক চার্টার গৃহীত বা সংশোধন, আইওসি সদস্য এবং পদাধিকারীদের নির্বাচনের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি আলোচনা করে। একটি আইওসি অধিবেশনে ১০১ জন ভোটদানকারী সদস্য, ৪৫ জন সম্মানিত সদস্য, একজন সম্মানিত সদস্য এবং ৫০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ফেডারেশনের সিনিয়র প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। ভারত ১৯৮৩ সালের পর প্রথমবারের জন্য এই মর্যাদাপূর্ণ সভাটির আয়োজন করার দায়িত্ব পেয়েছে, যা দেশের ক্রীড়াপ্রেমি ও অ্যাথলিটদের জন্য নতুন যুগের সূচনা করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

 

 

এই প্রেস্টিজিয়াস অলিম্পিক ইভেন্ট  আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে প্রথম সোনা জয়ী অভিনব বিন্দ্রা জানান,'ভারতের তরফ থেকে এই আইওসি অধিবেশনে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত।'ভারতের আইওসির সদস্য নীতা আম্বানি বলেন, এমন অলিম্পিক ইভেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়া সত্যিই গর্বের। আমরা এই ইভেন্ট সাফল্যের সঙ্গে আয়োজন করার জন্য প্রস্তুত। অতমারীর মধ্যে ভারতে খেলাধুলো অন্য মাত্রা পেয়েছে। আমি বিশ্বাস করি অলিম্পিক মুভেমেন্টে ভারত ভবিষ্যতে বড় ভূমিকা নেবে। এটা ভারতীয় ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে উন্নতির জন্য সঠিক সময়। ভারতীয় তরুনদেল জন্য আমরা নতুন দিকের উন্মোচন করতে চাই। আমদের লক্ষ্য ভবিষ্যতে ভারতের মাটিতে অলিম্পিকের আয়োজন করা। আর ২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে হতে চলা ওই আইএসির বৈঠক সেই লক্ষ্যে আমাদের কিছুটা এগিয়ে দেবে।'

 

 

এমন বিশ্বমানের ইভেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও। তিনি বলেছেন, 'ভারত সরকারের লক্ষ্য দেশকে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পোর্টিং নেশন হিসেবে গড়ে তোলার। এই লক্ষ্য পূরণে ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে বিভিন্ন স্পোর্টিং ইভেন্টের আয়োজন করছে। স্পোর্টকে পার্ট টাইম প্যাশন থেকে ফুল টাইম প্রফেশন তৈরি করতে আমরা সবরকমের আয়োজন করছি। অলিম্পিক মুভমেন্ট এই কর্মযজ্ঞকে আরও তরান্বিত করবে। এবং কথা দিচ্ছি ভারত সরকার আইওসি অধিবেশন সাফল্যেক সঙ্গে আয়োজনের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করবে।'