সংক্ষিপ্ত
সুরজিৎ সেনগুপ্ত হৃদরোগ ছিল। স্ট্রেই বসানো ছিল। তাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কার্ডিয়াক সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে। একই সঙ্গে দুটো বিষয় খেয়াল রেখেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
দীর্ঘ একমাস কোভিড-১৯ (COVID 019) এর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে জীবন যুদ্ধ হার মানলেন বাংলার ময়দানের দাপুটে ফুটবল প্লেয়ার সুরজিৎ সেনগুপ্ত(Surajit Sengupta)। গত ২৩ জানুয়ারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন বাইপাসের ধারেরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শরীরের অক্সিজেনের মাত্র কমছিল। সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যা আর প্রবল কাশি ছিল। তিন চার দিন আগে থেকেই তাঁর জ্বর ছিল। কোভিড আইসিউতে ছিলেন তিনি। ২৯ জানুয়ারি শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সেই সময়ই তাঁকে ভেন্টিলেটরে দিতে হয়েছিল। হাসপাতালের চিকিৎসক সিংহ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, কোভিডের কারণেই তাঁর শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ধীরে ধীরে মাল্টিঅর্গান ফেল করতে। ডাক্তারের কথায় দীর্ঘ একমাসের লড়াই এদিন শেষ করেনতিনি।
সুরজিৎ সেনগুপ্ত হৃদরোগ ছিল। স্ট্রেই বসানো ছিল। তাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কার্ডিয়াক সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে। একই সঙ্গে দুটো বিষয় খেয়াল রেখেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ তাঁর চিকিৎসা করেছিল। তেমনই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অঞ্জনলাল দত্ত দেখছিলেন বলেও জানিয়েছেন। তবে কোভিড এনকেপ অ্যালোপ্যাথিটাই সুরজিৎ সেনগুপ্তর সেরে ওঠার পিছনে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
১৯৫১ সালের ৩০ অগাস্ট সুরজিৎ সেনগুপ্তর জন্ম হয়েছিল। খিদিরপুর ক্লাবে থেকেই ফুটবল জীবন শুরু করেছিলেব তিনি। তারপর কলকাতার তিনটে বড় ক্লাবে দাপটের সঙ্গে ফুটবল খেলেছেন। সুরজিৎ সেনগুপ্তর প্রয়াণে ক্রীড়া মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর প্রয়নে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়াত ফুটবোলারের পরিবারে ও অনুগামীদেরও সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।